শেফা শরীফ (ভুমিকা ও সূচী)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ashifaa5

শেফা শরীফ – (১)

মূল: ইমাম কাজী আয়াজ (রহ:)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন

অনুবাদকের আরয

সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহতা’লারই প্রাপ্য, যিনি পরম দয়ালু, দাতা। অসংখ্য সালাত-সালাম জানাই মহান রাব্বুল আলামীনের খাস্ রহমত হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রতি, যাঁর অসীলায় এবং সুপারিশে আমরা গুনাহগার উম্মত নাজাত তথা ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তি অর্জন করার আশা রাখি। অতঃপর নূরে মোজাসসাম হযরত রাসূলে করীম (দ:)-এর পুণ্যবান আহল-এ-বায়ত (রা:), আসহাব-এ-কেরাম (রা:), আযওয়াজে মোতাহহারাত (পবিত্র বিবি সাহেবাবৃন্দ) ও বুযূর্গানে দ্বীন (রহ:)-মণ্ডলীর প্রতি নিবেদন করি আমাদের ভক্তিপূর্ণ সালাম। বিশেষ করে আমার পীর ও মোর্শেদ হযরতুল আল্লামা শাহ সূফী সৈয়দ এ, জেড, এম, সেহাবউদ্দীন খালেদ আল-কাদেরী আল-চিশ্তী রাহমাতুল্লাহে আলাইহের প্রতি নিবেদন করি আমার অন্তরের শ্রদ্ধার্ঘ্য।

এ বইটি আন্দালুসিয়া (স্পেন)-এর বিচারক ইমাম কাজী আয়াজ (রহ:) প্রায় হাজার বছর আগে প্রণয়ন করেছিলেন। মহানবী (দ:) সম্পর্কে লিখিত এটা অদ্বিতীয় মৌলিক গ্রন্থ। এর ইংরেজি অনুবাদ করেন মোহতারামা আয়েশা আবদ্ আল-রাহমান বিউলী।

আল্লাহতা’লা সবাইকে এ মহামূল্যবান গ্রন্থটি পাঠ করে এর মর্মবাণী উপলব্ধি করার তাওফীক দিন এবং এ গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ কবূল করুন, আমীন!

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

লেখকের মুখবন্ধ

[হে আল্লাহ, রাসূলুল্রাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি সালাম ও আশীর্বাদ বর্ষণ করুন]

অতঃপর বলছেন ফকীহ ও কাজী, ইমাম ও হাফেয, আবূল ফযল আয়াজ ইবনে মূসা ইবনে আয়াজ আল-এয়াহসুবী (রহ:):

আল্লাহরই প্রতি সকল প্রশংসা, যিনি তাঁর সুন্দরতম নামের অধিকারী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত এবং একমাত্র তিনি-ই মহাপরাক্রমশালী। তাঁর (নৈকট্যের) চেয়ে কম কোনো অভীষ্ট লক্ষ্য নেই এবং তাঁর (রেযামন্দী হাসিলের) পরে আর কোনো অভীষ্ট লক্ষ্য নেই। ধারণা ও কল্পনা ব্যবহারের প্রয়োজন ছাড়াই তিনি প্রকাশ্য এবং অনস্তিত্ব সৃষ্টিকারক বস্তু হতে নির্মল থেকেই তিনি অপ্রকাশ্য। তাঁর দয়া ও জ্ঞান দ্বারা তিনি সকল বস্তুকে ঘিরে রেখেছেন। তাঁর বন্ধুদের প্রতি তিনি অসীম করুণা (রহমত) বর্ষণ করছেন। তিনি তাঁদের মধ্য থেকে আরব ও অনারব উভয়েরই জন্যে এমন এক পয়গম্বর (দ:) প্রেরণ করেছেন, যিনি তাঁদের মধ্যে মহানতম, প্রকৃতি ও শিক্ষা-দীক্ষায় সবচেয়ে খাঁটি ও নির্মল, বুদ্ধি ও ধৈর্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, জ্ঞান ও উপলব্ধিতে সর্বাধিক পরিপূর্ণ, বিশ্বাস ‍ও আস্থায় সবচেয়ে অটল-অবিচল, যিনি তাঁদের প্রতি সর্বাধিক দয়াবান ও করুণাশীল।

আল্লাহতা’লা তাঁকে আত্মা ও শরীরে পুতঃপবিত্র করে সকল দোষত্রুটি থেকে মুক্ত রেখেছিলেন এবং তাঁকে জ্ঞান-প্রজ্ঞা ও বিচার-বিবেচনা ক্ষমতা দান করেছিলেন। তাঁরই মাধ্যমে আল্লাহতা’লা সে সকল চোখকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন যেগুলো ছিল অন্ধ; সে সকল অন্তরকে করেছেন উন্মুক্ত যেগুলো ছিল আবৃত; আর সে সকল কানকে শ্রবণশক্তি দিয়েছেন যেগুলো ছিল বধির। তিনি মানুষজনকে তাঁর এই রাসূল (দ:)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিয়েছেন। আল্লাহতা’লার রহমতের অংশের যাঁরা বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁরা তাঁকে সম্মান ও সাহায্য করতেন। আল্লাহ যাদের ভাগ্যে অভিশাপ লেখেছেন, তারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং অাল্লাহর নিদর্শনগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। “এ দুনিয়ায় যে ব্যক্তি অন্ধ, সে আখেরাতেও অন্ধ” [আল-কুরআন, ১৭:৭৩]। আল্লাহ পাক তাঁকে এমন এক নেয়ামত দান করুন যা বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি লাভ করে এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও আসহাব-এ-কেরাম (রা:)-কেও তা দান করুন এবং তাঁদের প্রতি শান্তি বর্ষণ করুন।

মহান আল্লাহতা’লা আমার ও আপনার অন্তরকে নিশ্চয়তার আলো দ্বারা আলোকোজ্জ্বল করুন! তাঁর বন্ধুবর্গ যাঁরা তাঁকে ভয় করেন এবং যাঁদের তিনি তাঁর সম্পূর্ণ পবিত্রতার আতিথ্য দ্বারা সম্মানিত করেছেন এবং যাঁদেরকে তিনি তাঁর নৈকট্য দান করে তাঁরই অন্যান্য সৃষ্টি থেকে পৃথক করেছেন, সেই সকল বন্ধুর মতো তিনি যেন আমার ও আপনার প্রতি রহমত (করুণা) বর্ষণ করেন। তাঁর রহস্যময় জ্ঞানের জন্যে এবং তাঁর মালাকুত-এর কিছু অত্যাশ্চর্য দর্শনের জন্যে এবং তাঁর ক্ষমতার কিছু নিদর্শন দেখানোর জন্যে তিনি তাঁদেরকে আলাদা করে নিয়েছেন। এটা তাঁদের অন্তরগুলোকে খুশিতে পরিপূর্ণ করে এবং আল্লাহতা’লার বিশালত্বে তাঁদের মস্তিষ্কগুলো নিজেদের হারিয়ে ফেলে। তাঁরা আল্লাহতা’লাকেই নিজেদের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান হিসেবে গ্রহণ করেন এবং এ পৃথিবী ও পরবর্তী জগতে তাঁকেই প্রত্যক্ষ করেন। তাঁর সৌন্দর্য ও রাজকীয়তা দর্শনে তাঁরা আশীর্বাদধন্য এবং তাঁর ক্ষমতা ও বিশালত্বের অত্যাশ্চর্যের মাঝে তাঁরা নিজেদের আবদ্ধ রাখেন। তাঁর প্রতি নিবেদিত হয়ে এবং তাঁর ওপর ভরসা করে তাঁরা আনন্দিত। তাঁরা নিবেদিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরই কালামের বাস্তব রূপ – “এঁরা হচ্ছেন এমন মানুষ যাঁদেরকে আল্লাহ হেদায়াত করেছেন; সুতরাং তোমরা তাঁদেরই পথে চলো।” [সূরা আনআম, ৯১ আয়াত]

আপনি বারবার আমাকে অনুরোধ করেছেন এমন কিছু লেখতে যা দ্বারা মহানবী (দ:)-এর প্রকৃত শান-মান ও তাঁর প্রাপ্য ভক্তি-শ্রদ্ধা এবং তাঁর শানে ন্যূনতম বে-আদবি সংঘটনকারীর প্রতি ফায়সালার সাথে পাঠকমণ্ডলীকে পরিচয় করিয়ে দেবে। আমাদের পূর্ববর্তী বুযূর্গানে দ্বীন ও ইমামবৃন্দের এতদসংক্রান্ত ভাষ্য সঙ্কলন করতেও আমাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে; আমি সেগুলোকে আয়াতে করীমা ও অন্যান্য উদাহরণ দ্বারা সমর্থন দেবো।

জেনে রাখুন, আল্লাহ আপনাকে সমুন্নত করবেন। আপনি আমাকে একটা কঠিন কাজের দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আপনি আমাকে এতো ভারী কাজের মুখোমুখি করেছেন যার ভয়ে আমার চিত্ত দুরু দুরু করছে!

এ বিষয়ে লেখার জন্যে প্রয়োজন প্রাথমিক উৎসগুলোর মূল্যায়ন, পরবর্তী উৎসগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের গভীরতা ও ব্যাপকতা সম্পর্কে অনুসন্ধান করা; কী কী বিষয় তাঁর প্রতি আরোপ করা যাবে এবং তাঁর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ কিম্বা বৈধ হবে তা-ও বিবেচনা করা; আর রেসালাত ও নবুওয়্যতের গভীর জ্ঞান, এ সুমহান পদমর্যাদার বিশেষ গুণাবলী, এর ভালোবাসা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব সম্পর্কেও মূল্যায়ন প্রয়োজন।

আমরা এমন-ই এক বিশাল বন্ধুর মরুভূমির সামনে উপস্থিত যেখানে মরু-মোরগও দিশেহারা হবে; এ মরুভূমি পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়; এটা এমন-ই এক স্থান যেখানে স্বপ্নগুলো বিচ্যুত হয় – যদি না সেগুলো জ্ঞানের দিকনির্দেশনা এবং তীক্ষ্ণদৃষ্টির সহায়তা পায়; এটা এমন-ই পিচ্ছিল ঢালু এক জায়গা যেখানে পা ফসকে পড়তে হবে – যদি না শুধু আল্লাহতা’লার প্রদত্ত সাফল্য ও সমর্থনের ওপর নির্ভর করা হয়। তবে এ প্রশ্নটির জবাব দেয়ার ব্যাপারে এবং মহানবী (দ:)-এর অনুপম চরিত্র-মাহাত্ম্য ও বিশেষ গুণাবলী প্রকাশ করার বিষয়ে আপনার ও আমার একটি বড় পুরস্কারপ্রাপ্তির ব্যাপারে আমি দারুণ আশাবাদী। কোনো সৃষ্টি-ই এ সকল গুণের অধিকারী কখনো হতে পারেনি। হুযূর পূর নূর (দ:)-কে প্রদত্ত দায়িত্ব যা সর্বশ্রেষ্ঠ দায়িত্ব-ই, তা আমি উল্লেখ করছি – “এ জন্যে যে, কিতাবী (ঐশী শাস্ত্রলিপির অনুসারী লোক)-দের মনে দৃঢ় বিশ্বাস আসবে এবং ঈমানদারবৃন্দের ঈমান বৃদ্ধি পাবে।” [আল-কুরআন, ৭৪:৩১]

যেসব লোককে কেতাব (ঐশীগ্রন্থ) দেয়া হয়েছে, তাদের প্রতি আল্লাহ অবশ্যকর্তব্য করেছেন যে তারা তা প্রকাশ করবে এবং গোপন করবে না, যা আবূল ওয়ালীদ হিশাম ইবনে আহমদ ফকীহ (ফেকাহবিদ) কর্তৃক আমার কাছে বর্ণিত হাদীস শরীফে প্রতিভাত হয়। ওই সময় আমি তাঁর অধীনে অধ্যয়নরত ছিলাম। তিনি বলেন: আমি জ্ঞাত হয়েছি আল-হুসাইন ইবনে মোহাম্মদ হতে, তিনি আবূ উমর নূমাইরী হতে, তিনি আবূ মোহাম্মদ ইবনে আব্দিল মো’মেন হতে, তিনি আবূ বকর মোহাম্মদ ইবনে বকর হতে, তিনি সুলাইমান ইবনে আল-আশ’আত হতে, তিনি মূসা ইবনে ইসমাঈল হতে, তিনি হাম্মাদ হতে, তিনি আলী ইবনে আল-হাকাম হতে, তিনি আতা’ হতে এই মর্মে যে, হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (দ:) এরশাদ করেছেন – “যে ব্যক্তিকে জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় এবং সে তা গোপন করে, তাকে আল্লাহতা’লা পুনরুত্থান দিবসে আগুনের রাশ দ্বারা আটক করবেন।” [আল-হাদীস]

এ কারণে আমার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুবার উদ্দেশ্যে এবং আমার প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণ করার জন্যে আমি কিছু পরিষ্কার উপাখ্যান তালাশ করা জরুরি বিবেচনা করেছি। আমি সেগুলোর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছি। কেননা, কোনো মানুষ তার জীবনে যে কঠিন পরীক্ষা ও দুঃখকষ্টের মুখোমুখি হয়, তাতে তার দেহ ও মস্তিষ্ক এতোই ব্যতিব্যস্ত থাকে যে সে ফরয (আবশ্যিক) এবং নফল (অতিরিক্ত) কার্যক্রম থেকে প্রায় বিচ্যুত হওয়ার উপক্রম হয় এবং সেরা অবস্থায় উপনীত হওয়ার পরও তাকে তা সর্বনিকৃষ্ট পর্যায়ে অধঃপতিত করে।

আল্লাহতা’লা যদি মানুষের মঙ্গল চান, তাহলে তিনি পরলোকে যা কিছু প্রশংসিত হবে এবং সমালোচিত হবে না, তা নিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখেন। সেদিন শুধু থাকবে নেয়ামতের আলোকোচ্ছ্বটা এবং জাহিমের শাস্তি। সুতরাং কোনো মানুষের উচিত নিজ কর্মের ব্যাপারে সচেতন হওয়া এবং নিজ আত্মার নাজাত (পরিত্রাণ) অন্বেষণ করা; আর নিজের ভালো কর্মগুলোর বৃদ্ধি সাধন এবং নিজের ও মানুষের কল্যাণকর, উপকারী জ্ঞান অন্বেষণ করাও তার জন্যে জরুরি।

আল্লাহতা’লা-ই আমাদের ভগ্ন হৃদয়গুলোকে জোড়া লাগিয়ে দেন, আমাদের বড় বড় ভুল কাজগুলোকে ক্ষমা করেন, তাঁর কাছে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি সুসম্পন্ন করেন, তাঁর নৈকট্য হাসিলের এবং আমাদেরকে রক্ষা করার জন্যে কাজ করার উপলক্ষ সৃষ্টি করে দেন এবং আমাদের প্রতি তাঁর দয়া ও ক্ষমা মঞ্জুর করেন।

অতএব, এ কাজের নিয়্যত (উদ্দেশ্য) করেই আমি অধ্যায়গুলো বিন্যস্ত করেছি। এ গ্রন্থের নাম দিয়েছি ‘আশ্ শিফা বিত্ তা’রিফে হুকুকে মোস্তফা’ (মনোনীত জনের অধিকারের প্রতি স্বীকৃতির মাঝে নিহিত নিরাময়)।

সূচিপত্র

প্রথম খণ্ড

[বাক্য ও কর্মে প্রকাশিত মহানবী (দ:) সম্পর্কে আল্লাহতা’লার সুউচ্চ মূল্যায়ন]

প্রথম অধ্যায়: রাসূল (দ:) সম্পর্কে আল্লাহর প্রশংসাস্তুতি ও সুউচ্চ মূল্যায়ন

পরিচ্ছেদ – ১/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর প্রশংসাস্তুতি ও তাঁর অসংখ্য মহৎ গুণাবলী

পরিচ্ছেদ – ২/ তাঁকে শাহেদ (সাক্ষী) হিসেবে আল্লাহর দেয়া বর্ণনা এবং এর সাথে সম্পৃক্ত প্রশংসা ও মর্যাদা

পরিচ্ছেদ – ৩/ তাঁর প্রতি আল্লাহতা’লার দয়া ও নম্র মনোভাব

পরিচ্ছেদ – ৪/ তাঁর মহান সত্তার নামে আল্লাহর কৃত কসম-সম্পর্কিত

পরিচ্ছেদ – ৫/ তাঁকে নিজের পাশে জায়গা দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহর কৃত শপথ

পরিচ্ছেদ – ৬/ মহানবী (দ:)-কে সম্বোধন করার ক্ষেত্রে আল্লাহতা’লার দয়া ও মহানুভবতা

পরিচ্ছেদ – ৭/ তাঁর সম্পর্কে আল্লাহর প্রশংসাস্তুতি এবং তাঁর অগণিত মহৎ গুণাবলী

পরিচ্ছেদ – ৮/ রাসূল (দ:)-এর প্রতি সালাওয়াত পাঠের জন্যে সৃষ্টিকুলের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ এবং তাঁকে আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণ ও তাঁরই অসীলায় শাস্তি মওকুফ করা

পরিচ্ছেদ – ৯/ সূরা ফাতহ-এ মহানবী (দ:)-কে প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ চিহ্নগুলো সম্পর্কে

পরিচ্ছেদ – ১০/ আল্লাহর মহান কেতাবে বিশ্বনবী (দ:)-কে প্রদত্ত মহা সম্মান এবং তাঁরই পাশে রাসূল (দ:)-এর মাকাম (পদমর্যাদা) ও রাসূল (দ:)-কে তাঁরই প্রদত্ত অন্যান্য বস্তু সম্পর্কে ব্যাখ্যা

দ্বিতীয় অধ্যায়: মহানবী (দ:)-এর সুমহান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গঠনকে আল্লাহর পূর্ণতাদান এবং দ্বীন ও দুনিয়ার যাবতীয় সুন্দর নৈতিকতা দ্বারা তাঁকে সমৃদ্ধকরণ

পরিচ্ছেদ – ১/ ভূমিকা

পরিচ্ছেদ – ২/ মহানবী (দ:)-এর শারীরিক বৈশিষ্ট্যমণ্ডলী

পরিচ্ছেদ – ৩/ তাঁর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

পরিচ্ছেদ – ৪/ তাঁর বুদ্ধিমত্তা, বাগ্মিতা ও তীক্ষ্ণ ধীশক্তি

পরিচ্ছেদ – ৫/ তাঁর সাবলীল বাচনভঙ্গি ও স্পষ্ট আরবী ভাষা

পরিচ্ছেদ – ৬/ তাঁর বংশগত শ্রেষ্ঠত্ব; তাঁর জন্মস্থানের ও বেড়ে ওঠার স্থানের সম্মান ও মর্যাদা

পরিচ্ছেদ – ৭/ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কর্মের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থা

পরিচ্ছেদ – ৮/ বিয়ে ও এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি

পরিচ্ছেদ – ৯/ অর্থসম্পদ সংক্রান্ত বিষয়াদি

পরিচ্ছেদ – ১০/ তাঁর প্রশংসনীয় গুণাবলী

পরিচ্ছেদ – ১১/ তাঁর বুদ্ধিমত্তা

পরিচ্ছেদ – ১২/ তাঁর ধৈর্য, দীর্ঘ দুঃখকষ্ট ও ক্ষমা প্রদর্শন

পরিচ্ছেদ – ১৩/ তাঁর দয়া ও উদারতা

পরিচ্ছেদ – ১৪/ তাঁর সাহস ও পরাক্রম

পরিচ্ছেদ – ১৫/ তাঁর বিনয় ও দৃষ্টি অবনতকরণ

পরিচ্ছেদ – ১৬/ তাঁর সৎ সঙ্গ, শিষ্ট আচার-ব্যবহার ও সৎ স্বভাব

পরিচ্ছেদ – ১৭/ তাঁর করুণাশীলতা

পরিচ্ছেদ – ১৮/ চুক্তি রক্ষায় ও আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখায় তাঁর সাধুতা

পরিচ্ছেদ – ১৯/ তাঁর বিনয়

পরিচ্ছেদ – ২০/ তাঁর ন্যায়বিচার, বিশ্বস্ততা, শালীনতা ও সত্যপরায়ণতা

পরিচ্ছেদ – ২১/ তাঁর গম্ভীরতা, মৌনতা, চিন্তাশীলতা, পৌরুষসূচক গুণাবলী ও সুন্দর আচার-ব্যবহার

পরিচ্ছেদ -২২/ পার্থিব বিষয়াদিতে তাঁর অসম্পৃক্ততা

পরিচ্ছেদ -২৩/ তাঁর খোদাভীরুতা, আল্লাহর প্রতি অানুগত্য ও এবাদত-বন্দেগীর গভীরতা

পরিচ্ছেদ – ২৪/ আম্বিয়া (আ:)-এর গুণাবলী

পরিচ্ছেদ – ২৫/ নবী করীম (দ:)-এর গুণাবলীর ক্ষেত্রে ইবনে আবি হালা হতে আল-হাসানের বর্ণিত হাদীস শরীফ

তৃতীয় অধ্যায়: আল্লাহ কর্তৃক মহানবী (দ:)-এর মহা মূল্যায়ন, তাঁর উচ্চ মর্যাদা ও উভয় লোকে তাঁর উচ্চ পদমর্যাদা সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য ও প্রসিদ্ধ রেওয়ায়াত/বর্ণনাসমূহ

পরিচ্ছেদ – ১/ তাঁর মকাম (স্থান)

পরিচ্ছেদ – ২/ মে’রাজ তথা রাত্রি-ভ্রমণের অলৌকিক ঘটনা

পরিচ্ছেদ – ৩/ রাত্রি-ভ্রমণের বাস্তবতা

পরিচ্ছেদ – ৪/ যারা একে স্বপ্ন বলে তাদের খণ্ডন

পরিচ্ছেদ – ৫/ তাঁর প্রভুর দর্শন

পরিচ্ছেদ – ৬/ আল্লাহর সকাশে ঘনিষ্ঠ আলাপ

পরিচ্ছেদ – ৭/ তাঁর নৈকট্য ও ঘনিষ্ঠতা

পরিচ্ছেদ – ৮/ পুনরুত্থান দিবসে তাঁর মানুষের অগ্রবর্তী হওয়া

পরিচ্ছেদ – ৯/ আল্লাহর ভালোবাসা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের জন্যে তাঁকে বেছে নেয়া

পরিচ্ছেদ – ১০/ তাঁকে ‘মাকামে মাহমূদ’ (প্রশংসিত স্থান) ও শাফায়াত দান

পরিচ্ছেদ – ১১/ আল্লাহতা’লা কর্তৃক তাঁকে বেহেস্তে মধ্যস্থতা করার ক্ষমতা, উচ্চ মর্যাদা ও ‘কাউসার’ দান

পরিচ্ছেদ – ১২/ আম্বিয়া (আ:)-বৃন্দের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে নিষেধকারী হাদীসসমূহ

পরিচ্ছেদ – ১৩/ মহানবী (দ:)-এর নাম মোবারক ও নামের শ্রেষ্ঠত্ব

পরিচ্ছেদ – ১৪/ আল্লাহতা’লা কর্তৃ নিজের কিছু সুন্দর নাম ও মহানতম গুণাবলী দ্বারা মহানবী (দ:)-কে সম্মানিতকরণের বর্ণনা

পরিচ্ছেদ – ১৫/ স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টির গুণাবলীর পুনঃআলোচনা

চতুর্থ অধ্যায়: মহানবী (দ:)-এর হাত মোবারক দ্বারা আল্লাহতা’লা যেসব মো’জেযা দেখিয়েছেন এবং যে কারামত (সম্মান) তাঁকে দান করেছেন

পরিচ্ছেদ – ১/ মুখবন্ধ

পরিচ্ছেদ – ২/ নবুওয়্যত ও রেসালাত

পরিচ্ছেদ – ৩/ মো’জেযার অর্থ

পরিচ্ছেদ – ৪/ কুরআন মজীদের অনুকরণীয় বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ৫/ কুরআন মজীদের গঠনশৈলী ও ধারার অনুকরণীয় দিক

পরিচ্ছেদ – ৬/ গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান) সম্পর্কে তথ্য

পরিচ্ছেদ – ৭/ পূর্ববর্তী প্রজন্ম ও বিগত জাতিগুলোর দেয়া খবর

পরিচ্ছেদ – ৮/ আরবদের প্রতি চ্যালেন্জ ও প্রত্যুত্তর দানে তাদের অক্ষমতা এবং তাদেরকে এ মর্মে অবহিতকরণ যে তারা প্রত্যুত্তর দিতে সক্ষম হবে না

পরিচ্ছেদ – ৯/ কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণে আল্লাহ-ভীতি সঞ্চার ও মানুষের অন্তরে এর অনুপ্রেরণা

পরিচ্ছেদ – ১০/ কুরঅান মজীদ চিরকাল বিদ্যমান থাকার বিষয়

পরিচ্ছেদ – ১১/ কুরআন মজীদ অনুকরণীয় হওয়ার অন্যান্য দিক

পরিচ্ছেদ – ১২/ চাঁদ দ্বিখণ্ডিতকরণ ও সূর্যকে আটকে রাখা

পরিচ্ছেদ – ১৩/ মহানবী (দ:)-এর আঙ্গুল মোবারক হতে পানির নহর প্রবাহিত হওয়া এবং তাঁর বরকতে তা বৃদ্ধি পাওয়া

পরিচ্ছেদ – ১৪/ হুযূর পূর নূর (দ:)-এর বরকতে পানি প্রবাহিত হওয়া

পরিচ্ছেদ – ১৫/ রাসূলে করীম (দ:)-এর বরকতে ও দোয়ায় খাদ্য সামগ্রীর প্রাচুর্য

পরিচ্ছেদ – ১৬/ গাছের বাক্ শক্তি ও তাঁর নবুওয়্যতের প্রতি সাক্ষ্য প্রদান এবং তাঁর আহ্বানে সাড়া দেয়া

পরিচ্ছেদ – ১৭/ তালগাছের গুঁড়ির আকাঙ্ক্ষাসম্পর্কিত ঘটনা

পরিচ্ছেদ – ১৮/ অন্যান্য জড় পদার্থের অনুরূপ ঘটনাবলী

পরিচ্ছেদ – ১৯/ বিভিন্ন জন্তু-জানোয়ারের সাথে সম্পৃক্ত নিদর্শনসমূহ

পরিচ্ছেদ – ২০/ মৃতকে পুনরায় জীবিত করা, মৃতদের বাক্ শক্তি, দুধের শিশুদের দ্বারা কথা বলা ও তাঁর নবুওয়্যতের প্রতি সাক্ষ্য প্রদান

পরিচ্ছেদ – ২১/ অসুস্থ ও পঙ্গুদের আরোগ্য দান

পরিচ্ছেদ – ২২/ মহানবী (দ:)-এর প্রার্থনা কবুল হওয়া প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ২৩/ বিশ্বনবী (দ:)-এর কারামত ও বরকত এবং তাঁর দ্বারা স্পর্শকৃত বস্তু তাঁরই জন্যে পরিবর্তিত হওয়া প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ২৪/ গায়ব ও ভবিষ্যত ঘটনাবলী সম্পর্কে মহানবী (দ:)-এর জ্ঞান

পরিচ্ছেদ – ২৫/ মহানবী (দ:)-এর প্রতি শত্রুতাভাব পোষণকারী লোকদের ক্ষতি থেকে আল্লাহ প্রদত্ত সুরক্ষা ও আল্লাহ একাই যথেষ্ট হওয়া প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ২৬/ মহানবী (দ:)-এর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা

পরিচ্ছেদ – ২৭/ ফেরেশতা ও জ্বিনের সাথে মহানবী (দ:)-এর আলাপসম্পর্কিত বর্ণনা

পরিচ্ছেদ – ২৮/ মহানবী (দ:)-এর গুণাবলী ও তাঁর নবুওয়্যতের নিদর্শনসমূহ

পরিচ্ছেদ – ২৯/ বিশ্বনবী (দ:)-এর বেলাদত (ধরাধামে শুভাগমন) বৃত্তান্ত

পরিচ্ছেদ – ৩০/ পরিসমাপ্তি ও সংযুক্তি

দ্বিতীয় খণ্ড

[মানুষের ওপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের অধিকার]

প্রথম অধ্যায়: মহানবী (দ:)-কে বিশ্বাস করা, মান্য করা ও তাঁর সুন্নাহকে অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতা

পরিচ্ছেদ – ১/ তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের বাধ্যবাধকতা

পরিচ্ছেদ – ২/ তাঁকে মানার বাধ্যবাধকতা

পরিচ্ছেদ – ৩/ তাঁকে অনুসরণের এবং তাঁর সুন্নাহ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা

পরিচ্ছেদ – ৪/ তাঁর সুন্নাহ মেনে চলার, তাঁর হেদায়াত (পথপ্রদর্শন) ও সীরাহ (জীবনচরিত) অনুসরণের ব্যাপারে সালাফ-বৃন্দের এবং ইমামমণ্ডলীর বর্ণনাসমূহ

পরিচ্ছেদ – ৫/ তাঁর আদেশের বিরোধিতা করার বিপদ

দ্বিতীয় অধ্যায়: মহানবী (দ:)-কে ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ১/ তাঁকে ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত

পরিচ্ছেদ – ২/ মহানবী (দ:)-কে ভালোবাসার পুরস্কার প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ – ৩/ সালাফ ও ইমামবৃন্দ কর্তৃক মহানবী (দ:)-এর প্রতি অন্তরে মহব্বত পোষণের ও তাঁর রেযামন্দি হাসিলের পক্ষে তাঁদেরই বর্ণিত প্রামাণ্য দলিল

পরিচ্ছেদ – ৪/ মহানবী (দ:)-এর প্রতি ভালোবাসার আলামত বা চিহ্ন

পরিচ্ছেদ – ৫/ নবীপ্রেমের অর্থ ও বাস্তবতা

পরিচ্ছেদ -৬/ মহানবী (দ:)-এর খাতিরে নসীহতের বাধ্যবাধকতা

তৃতীয় অধ্যায়: তাঁর মর্যাদা তুলে ধরা এবং তাঁকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করার প্রয়োজনীয়তা

পরিচ্ছেদ – ১/ এ বিষয়ে কুরআনের আয়াতসমূহ

পরিচ্ছেদ – ২/ তাঁর প্রাপ্য ভক্তি-শ্রদ্ধা ও সম্মান (তা’যিম)

পরিচ্ছেদ – ৩/ মহানবী (দ:)-এর বেসালের পরে তাঁর প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা

পরিচ্ছেদ – ৪/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সালাফ-বৃন্দের শ্রদ্ধা প্রদর্শন

পরিচ্ছেদ – ৫/ তাঁর পরিবারবর্গ, বংশধর ও বিবি সাহেবানের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা

পরিচ্ছেদ – ৬/ তাঁর আসহাব-মণ্ডলীর প্রতি সম্মান, ভক্তি-শ্রদ্ধা এবং তাঁদের প্রাপ্য সম্মানের স্বীকৃতি

পরিচ্ছেদ – ৭/ মহানবী (দ:)-এর সাথে সম্পর্কিত বস্তু ও স্থানের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা

চতুর্থ অধ্যায়: রাসূলুল্লাহ (দ;)-এর প্রতি সালাত-সালাম পাঠ এবং এর বাধ্যবাধকতা ও শ্রেষ্ঠত্ব

পরিচ্ছেদ – ১/ বিশ্বনবী (দ:)-এর প্রতি সালাওয়াতের অর্থ

পরিচ্ছেদ – ২/ মহানবী (দ:)-এর প্রতি প্রেরিত সালাওয়াতের বিচার

পরিচ্ছেদ – ৩/ যেসব পরিস্থিতিতে হুযূর পাক (দ:)-এর প্রতি সালাওয়াত পাঠ করা উত্তম বলা হয়েছে

পরিচ্ছেদ – ৪/ মহানবী (দ:)-এর প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণের পদ্ধতিসম্পর্কিত বর্ণনা

পরিচ্ছেদ – ৫/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর প্রতি প্রেরিত সালাত-সালামের শ্রেষ্ঠত্ব

পরিচ্ছেদ – ৬/ তাঁর প্রতি সালাওয়াত যারা পাঠ করে না তাদের সমালোচনা এবং তাদের ভ্রান্ত কর্ম

পরিচ্ছেদ – ৭/ রাসূল (দ:)-এর প্রতি প্রেরিত সালাওয়াত তাঁর কাছে প্রকাশিত হওয়ায় তাঁরই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য

পরিচ্ছেদ – ৮/ নবী করীম (দ:) ভিন্ন অন্যদের প্রতি এবং অন্যান্য নবী (আ:)-বৃন্দের প্রতি প্রেরিত সালামের ব্যাপারে মতপার্থক্য

পরিচ্ছেদ – ৯/ মহানবী (দ:)-এর রওযা পাক যেয়ারত, যেয়ারতকারীদের উৎকর্ষ ও তাঁকে সম্ভাষণ জানানোর রীতি

পরিচ্ছেদ – ১০/ মসজিদে নববীতে প্রবেশের আদব ও তার উৎকর্ষ

তৃতীয় খণ্ড

নবী (দ:)-এর জন্যে যেসব বিষয় জরুরি এবং যেগুলো অসম্ভব; যেসব বিষয় অনুমতিপ্রাপ্ত এবং যেগুলো নিষিদ্ধ; আর তাঁর প্রতি আরোপযোগ্য বৈধ মানবীয় বিষয়াদি

এটা এ বইয়ের গোপনীয় রহস্যময় অংশ এবং ফলের শাঁস-ও। এর আগে যা এসেছে তা এর ভিত্তি রচনা করেছে এবং আমরা যেসব সুস্পষ্ট বাস্তব ঘটনা বর্ণনা করবো তার প্রামাণিক দলিল ওতে প্রদান করা হয়েছিল। এটার পরে যা কিছু আসছে তাকে এটা পরিচালনা করছে এবং এ বইয়ের লক্ষ্য অর্জন করছে। এর প্রতিশ্রুতির যখন পরীক্ষা নেয়া হবে এবং এর কর্তব্য পালনও পূর্ণ হবে, তখন অভিসম্পাতপ্রাপ্ত শত্রুর বক্ষ সংকুচিত হয়ে যাবে, আর ঈমানদারের অন্তর নিশ্চয়তার আলো দ্বারা আলোকিত হবে এবং তাঁর বক্ষ এর জ্যোতিতে পূর্ণ হবে। এমতাবস্থায় বুদ্ধিসম্পন্ন মানবকুল মহানবী (দ:)-কে যেভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন, সেভাবে মূল্যায়ন করবেন।

প্রথম অধ্যায়: দ্বীনী বিষয়াদি ও ত্রুটিবিচ্যুতি হতে মহানবী (দ:)-এর রক্ষাপ্রাপ্ত হওয়ার প্রসঙ্গ

পরিচ্ছেদ – ১/ নবুওয়্যতের সূচনালগ্ন হতেই রাসূল (দ:)-এর অন্তরের বিশ্বাসসম্পর্কিত বিষয়

পরিচ্ছেদ – ২/ নবুওয়্যতের আগে ভুলভ্রান্তি থেকে আম্বিয়া (অা:)-বৃন্দের হেফাযতপ্রাপ্তির বিষয়

পরিচ্ছেদ – ৩/ দুনিয়ার যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর জ্ঞান

পরিচ্ছেদ – ৪/ শয়তান হতে রক্ষাপ্রাপ্তি

পরিচ্ছেদ – ৫/ সকল অবস্থায় নবী করীম (দ:)-এর সত্যবাদিতা

পরিচ্ছেদ – ৬/ নির্দিষ্ট কিছু সন্দেহের অপনোদন

পরিচ্ছেদ – ৭/ এ পৃথিবী সংক্রান্ত বর্ণনাবিষয়ক তাঁর আহওয়াল (হাল/অবস্থা)

পরিচ্ছেদ – ৮/ কতিপয় আপত্তির ফায়সালা

পরিচ্ছেদ – ৯/ মহা ভ্রান্তিপূর্ণ কর্ম হতে মহানবী (দ:)-এর রক্ষাপ্রাপ্ত হওয়া

পরিচ্ছেদ – ১০/ পয়গম্বর হওয়ার আগে খোদাদ্রোহিতামূলক কর্ম হতে আম্বিয়া (আ:)-এর রক্ষাপ্রাপ্ত হওয়া

পরিচ্ছেদ – ১১/ কাজ-কর্মে বিস্মৃত হওয়া বা অসাবধানতাবশতঃ খেয়াল না করা প্রসঙ্গ

পরিচ্ছেদ – ১২/ মহানবী (দ:)-এর বে-খেয়াল হওয়া সংক্রান্ত হাদীসসমূহ

পরিচ্ছেদ – ১৩/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর জন্যে ছোট-খাটো ভুল কাজ অনুমতিপ্রাপ্ত যারা বলে, তাদের খণ্ডন এবং তাদের যুক্তি যাচাই

পরিচ্ছেদ – ১৪/ (আল্লাহ-) ভীতি ও এস্তেগফারের পর্যায়ে আম্বিয়া (আ:)-বৃন্দের আহওয়াল (অবস্থাসমূহ)

পরিচ্ছেদ – ১৫/ ভুল-ভ্রান্তি হতে রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর সুরক্ষাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি যাচাইকারী পরিচ্ছেদগুলোর উপকারিতা

পরিচ্ছেদ – ১৬/ ফেরেশতাদের হেফাযত প্রসঙ্গ

দ্বিতীয় অধ্যায়: এ জগতের প্রেক্ষিতে মহানবী (দ:)-এর অবস্থাসমূহ এবং তাঁর যেসব অনত্যাবশ্যকীয় মানব-সুরতের বৈশিষ্ট্য হতে পারে

পরিচ্ছেদ – ১/ মানব-সুরত অবস্থার প্রেক্ষিতে আম্বিয়া (আ:)-বৃন্দের অবস্থা

পরিচ্ছেদ – ২/ জাদু-টোনার প্রেক্ষিতে তাঁর অবস্থা

পরিচ্ছেদ – ৩/ দুনিয়াবী বিষয়াদির প্রেক্ষিতে মহানবী (দ:)-এর অবস্থাসমূহ

পরিচ্ছেদ – ৪/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর বিচার-বিবেচনা

পরিচ্ছেদ – ৫/ এই জগতের সাথে সম্পর্কিত নবী করীম (দ:)-এর বর্ণনাসমূহ

পরিচ্ছেদ – ৬/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর অসিয়ত (উইল)-বিষয়ক হাদীস

পরিচ্ছেদ – ৭/ অন্যান্য হাদীসের অধ্যয়ন

পরিচ্ছেদ – ৮/ এ পৃথিবীতে মহানবী (দ:)-এর কর্মসমূহ

পরিচ্ছেদ – ৯/ পয়গম্বর (আ:)-বৃন্দের রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদের মধ্যে নিহিত (ঐশী) জ্ঞান-প্রজ্ঞা

চতুর্থ খণ্ড

মহানবী (দ:)-কে যারা ভুলত্রুটিপূর্ণ মনে করে কিম্বা অভিসম্পাত দেয়, তাদের সম্পর্কে ফায়সালা

প্রথম অধ্যায়: রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে অভিসম্পাত দেয়ার অথবা ইঙ্গিতে বা স্পষ্টভাবে ভুলত্রুটিপূর্ণ বলার ব্যাখ্যা

পরিচ্ছেদ – ১/ মহানবী (দ:)-কে অভিসম্পাত দান অথবা হেয় প্রতিপন্নকারী ব্যক্তি সম্পর্কে শরীয়তের সিদ্ধান্ত

পরিচ্ছেদ – ২/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর প্রতি অভিসম্পাতদাতা বা তাঁর সমালোচনাকারীকে হত্যা করার প্রয়োজনীয়তা প্রতীয়মানকারী প্রামাণ্য দলিল

পরিচ্ছেদ – ৩/ মহানবী (দ:)-এর ক্ষতি সাধনকারী কিছু লোককে তাঁর ক্ষমা প্রদর্শন করার কারণসমুহ

পরিচ্ছেদ – ৪/ অনিচ্ছাকৃতভাবে বা কোনো প্রকৃত বিশ্বাস ছাড়াই মহানবী (দ:)-কে হেয়কারীর ব্যাপারে মীমাংসা

পরিচ্ছেদ – ৫/ এ ধরনের উক্তিকারী কি কাফের (অবিশ্বাসী), না মুরতাদ্দ (ধর্মত্যাগী)?

পরিচ্ছেদ – ৬/ যেসব কথা অভিসম্পাত বলে ধরা হবে, সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত

পরিচ্ছেদ – ৭/ পয়গম্বর (আ:)-বৃন্দের কোনো একটি বৈশিষ্ট্য ধারণ করার দাবি যে ব্যক্তি করে, তার ব্যাপারে ফায়সালা

পরিচ্ছেদ – ৮/ যে ব্যক্তি ওই ধরনের কথা অন্য কারো কাছ থেকে উদ্ধৃত করে, তার ব্যাপারে মীমাংসা

পরিচ্ছেদ – ৯/ দিকনির্দেশনার খাতিরে মহানবী (দ:)-এর যেসব হাল (অবস্থা) উল্লেখ করা জায়েয

পরিচ্ছেদ – ১০/ রাসূলুল্লাহ (দ:)-সম্পর্কিত রেওয়ায়াত (বর্ণনা)-সমূহ উদ্ধৃত করার সময় পালনীয় আদব

দ্বিতীয় অধ্যায়: যে ব্যক্তি মহানবী (দ:)-কে অভিসম্পাত দেয়, গালাগাল করে, হেয় প্রতিপন্ন করে বা তাঁর ক্ষতি করে, তার বিরুদ্ধে রায় এবং তাকে যেভাবে শাস্তি দেয়া উচিত; তাকে তওবা করতে বলা এবং তার উত্তরাধিকার সংক্রান্ত

পরিচ্ছেদ – ১/ মহানবী (দ:)-কে অভিসম্পাতদাতা বা হেয় প্রতিপন্নকারীর ফায়সালা-বিষয়ক বক্তব্য ও মতামতসমূহ

পরিচ্ছেদ – ২/ তওবাকারী মুরতাদ্দ (ধর্মত্যাগী)-সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত

পরিচ্ছেদ – ৩/ ধর্মত্যাগের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এমন মুরতাদ্দদের ব্যাপারে ফায়সালা

পরিচ্ছেদ – ৪/ এতদসংক্রান্ত বিষয়ে জিম্মিদের ব্যাপারে মীমাংসা

পরিচ্ছেদ – ৫/ মহানবী (দ:)-এর প্রতি অভিসম্পাতদানের কারণে যে ব্যক্তিকে কতল করা হয়, তার উত্তরাধিকার, গোসল দান ও জানাযা আদায় সংক্রান্ত বিষয়

তৃতীয় অধ্যায়: আল্লাহতা’লা, তাঁর ফেরেশতাকুল, পয়গম্বর (আ:)-বৃন্দ, আসমানী কেতাব সকল, মহানবী (দ:)-এর আহলে বায়ত (রা:) ও আসহাব (রা:)-মণ্ডলীর প্রতি অভিসম্পাতদাতার ব্যাপারে ফায়সালা

পরিচ্ছেদ – ১/ আল্লাহকে লা’নত দানকারীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত এবং তাকে তওবা করতে বলার ব্যাপারে বিধান

পরিচ্ছেদ – ২/ এজতেহাদ ও ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত দ্বারা আল্লাহর শান-মানের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো কিছু তাঁর প্রতি আরোপ করার ব্যাপারে বিধান

পরিচ্ছেদ – ৩/ ভুল ব্যাখ্যাকারীকে কাফের বিবেচনা করার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই

পরিচ্ছেদ – ৪/ কোন্ বক্তব্য কুফরীর শামিল, কোনটি নিঃসন্দেহ নয় বা মতভেদপূর্ণ, এবং কোনটি কুফরী নয়, সেসব বিষয় সম্পর্কে ব্যাখ্যা

পরিচ্ছেদ – ৫/ আল্লাহর প্রতি অভিসম্পাতদাতা আজিম্মি (জিম্মি)-দের ব্যাপারে বিধান

পরিচ্ছেদ – ৬/ যে ব্যক্তি খোদায়ী দাবি করে বা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করে, তার সম্পর্কে রায়

পরিচ্ছেদ – ৭/ মহাপ্রভুর শান-মানের প্রতি অনিচ্ছাকৃতভাবে হেয়কর কথাবার্তা উচ্চারণকারী ও আহাম্মকীপূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশকারী ব্যক্তির ব্যাপারে ফায়সালা

পরিচ্ছেদ – ৮/ আম্বিয়া (আ:)-বৃন্দ ও ফেরেশ্তাকুলকে সার্বিকভাবে অভিসম্পাতদাতা ব্যক্তির ব্যাপারে রায়

পরিচ্ছেদ – ৯/ কুরআন মজীদের ভিত্তিতে রায়

পরিচ্ছেদ – ১০/ মহানবী (দ:)-এর আহলে বায়ত (রা:), আযওয়াজে মোতাহহারাত (রা:) ও আসহাবে কেরাম (রা:)-মণ্ডলীর প্রতি অভিসম্পাতদাতার ব্যাপারে ফায়সালা

অতঃপর এখানেই বইটির সমাপ্তি: এটি ঈমানদারির ভ্রূতে উজ্জ্বল জ্যোতি; ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের রাজমুকুটে অমূল্য এক মুক্তো; বিভ্রান্তির অপনোদক ও প্রতিটি ধারণার ব্যাখ্যাকারক; ঈমানদার-বৃন্দের অন্তরের নিরাময়। এটি জনসমক্ষে সত্য উদ্ঘাটন করে এবং অজ্ঞদেরকে তা দ্বারা মোকাবেলা করে।

আমি আল্লাহরই সাহায্য প্রার্থনা করি – নিশ্চয় তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য মা’বূদ নেই।

পরিশিষ্ট

আরবী শব্দের টীকাপুঞ্জ

গ্রন্থে উদ্ধৃত হাদীস সংকলনের টীকাপুঞ্জ

গ্রন্থে উল্লেখিত ব্যক্তিদের টীকাপুঞ্জ

পরিচ্ছেদের বিষয়াদির সারাংশ

’শেফা’ গ্রন্থপ্রণেতার সংক্ষিপ্ত জীবনী

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment