ডাউনলোড লিংক নিচে–
২০১৪ সালের এই দিনে, ২৭ আগস্ট রাতে রাজধানীর ১৭৪, পূর্ব রাজাবাজারের নিজ বাসায় মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আজ তাঁর শাহাদাতের ৭ বছর পূর্তি হলো। অথচ খুনিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।
মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মোফাসসিরে কুরআন, পূর্ব রাজাবাজার জামে মসজিদের সাবেক খতিব, ইসলামিক মিডিয়া জনকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান, মেঘনা ট্রাভেলস-এর ম্যানেজিং পার্টনার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই-এর ধর্মীয় অনুষ্ঠান কাফেলার উপস্থাপক ও পরিচালক, রেডিও বাংলাদেশের ধারা ভাষ্যকার, সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব ও ফারুকী ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস-এর এমডি। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ইসলামিক সংগঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন।
শহীদ আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকী [রাহমাতুল্লাহি আলাইহি] ছিলেন সৎ-সাহসী, ন্যায়পরায়ণ, কর্তব্যপরায়ণ, দায়িত্বশীল এবং রাসূলপ্রেমে সিক্ত এক বিদগ্ধ আলেমে দীন। তিনি ছিলেন নবী কারীম হযরত মুহাম্মদ [ﷺ]-এঁর একজন প্রকৃত আশেক। অপরদিকে তিনি ছিলেন দুষমনে রাসূলদের জন্য চরম বিভীষিকা। সুন্নীয়তের উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে তিনি তাঁর অবস্থান মজবুত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সুন্নীয়তের পক্ষে তিনি ছিলেন বলিষ্ট কন্ঠস্বর। ন্যায় এবং সত্য কথা বলতে কখনো তিনি ভয় পেতেন না।
তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অপরিসীম। প্রতি বছর বারই রবিউল আওয়াল মাসে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুশে তার অবদান ছিল লক্ষণীয়।
মিডিয়া জগতে যখন বাতেল ফের্কার ঘোমটা মৌ-লোভীগুলো সাধারণ মুসলমানকে গোমরাহির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি ইসলামের সঠিক ইতিহাস এবং কুরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখা তুলে ধরে তাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। সমগ্র পৃথিবী পরিভ্রমণ করে ইসলামের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস এবং নবী-রাসূল ও সাহাবী গণের মাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ইতিহাস কুরআন-হাদিসের আলোকে তাঁর কাফেলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরতেন।
সত্য প্রকাশে তিনি ছিলেন নির্ভীক এবং দুঃসাহসী। ইসলামের জন্য নিবেদীত প্রাণ। সব সময় তিনি শাদাতের মৃত্যুর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। আল্লাহ্ পাক তাঁর সে প্রার্থনা কবুল করেছেন এবং শাহাদাতের মৃত্যু নসীব করেছেন। শাহাদাতের মাত্র কিছুদিন পূর্বেও তিনি চট্টগ্রামের এক মাহফিলে তাঁর শাহাদাতের আশংকার কথা প্রকাশ করেছিলেন।
শহীদ আল্লামা ন‚রুল ইসলাম ফারুকী [রাহমাতুল্লাহি আলাইহি] ছিলেন সুন্নীয়তের নয়নমনি।
শহীদ ফারুকী অনন্য। তিনি চেয়েছেন শহীদী মৃত্যু, আল্লাহ্ পাক তা কবুলও করেছেন। এ কারণেই এই শহীদের জীবন এবং কর্ম সম্পর্কে জানা সময়ের দাবি। তাঁর কর্ম ও নিষ্ঠা কিভাবে সত্য প্রচারে ভূমিকা রেখেছে তা অনুধাবন করা জরুরী। মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাহাড়সম শক্ত প্রাচীর হয়ে কিভাবে তিনি সত্য তুলে ধরেছেন তা আমাদের অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। একনিষ্ঠ ভাবে সতত উচ্চতায় পৌঁছুক এই শহীদের মর্যাদা। আমীন।
ডাউনলোড লিংকঃ