ইরফান-উল-কুরআন কেন অনন্য? – ডক্টর আব্দুল বাতেন মিয়াজী

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মূল কুরাআনুল কারীম পৃথিবীর সব দেশে, সব স্থানে একই রকম, পার্থক্যহীন। কিন্তু কুরআনুল কারীমের অনুবাদ ভাষাভেদে ভিন্ন ভিন্ন। এমন কি একই ভাষায় একাধিক ও ভিন্ন ভিন্ন অনুবাদ বিদ্যমান। অনুবাদকের প্রজ্ঞা, ভাষায় দক্ষতা, ইসলামি জ্ঞানে পাণ্ডিত্য, ইসলামের ইতিহাসে দখল ইত্যাদি বিষয়ের প্রভাব পড়ে অনুবাদে। এটা সহজেই বোধগম্য। সাধারণ কারো অনুবাদক এবং আল্লাহ্‌ প্রদত্ত জ্ঞান বা ইলমে লাদুন্নীপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুবাদে এ পার্থক্য বিশাল আকার ধারণ করতে পারে। কুরআনুল কারীমের ভাষায় যিনি মুমিন, মুত্তাক্বী, মুহসীন এবং সর্বোপরি আল্লাহ্‌ পাকের প্রিয়ভাজন অথবা সুফিবাদের ভাষায় যিনি শরীয়তের পাশাপাশি তরিক্বত, হাক্বীক্বত ও মা’রেফাতের জ্ঞানে সুগভীর প্রজ্ঞাবান এবং আল্লাহ্‌ পাকের বিশেষ ইলহামপ্রাপ্ত বান্দা, তিনি যেভাবে কুরআন বুঝবেন এবং অনুধাবন করবেন একজন সাধারণ ইসলামি পণ্ডিত সেভাবে কুরআন বুঝবেন না। তাদের উভয়ের জ্ঞানের গভীরতা একই রকম হবার কথা নয়। আর কুরআনুল কারীমের অনুবাদ যদি হয় যুগের মুজাদ্দিদ কর্তৃক, তখন এর ব্যপ্তি ও গভীরতা অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।

ইরফান-উল-কুরআন উর্দু ও ইংরেজি লিংক

https://www.irfan-ul-quran.com/english/index.html

ইরফান-উল-কুরআন উর্দু ও ইংরেজি এপ

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tgq.irfanulquran

খুব শীঘ্রই বাংলা টেক্সট সংযোজন করা হবে ইন শা আল্লাহ্‌।

ইরফান-উল-কুরআন পেতে হলে এই লিঙ্ক থেকে বুকিং দিন
https://forms.gle/gwrcXhAFLxk2Km197

ইরফান-উল-কুরআনের বিশেষত্ব এখানেই। ডক্টর মুহাম্মাদ তাহির-উল-ক্বাদরী মাঃ জিঃ আঃ বর্তমান শতাব্দীর মুজাদ্দিদ। মিশরের আল-আজহারসহ বিশ্বের উল্লেখযোগ্য ইসলামি জ্ঞানাগার কর্তৃক স্বীকৃত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব তিনি। এমন কি ২০১৯ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত ওআইসি কর্তৃক শান্তিবিষয়ক মহাসম্মেলনে প্রধান বক্তা [Keynote Speaker] এবং শান্তিদূত হিসেবে সমাদৃত হন যুগের এই মুজাদ্দিদ। আল-আজহারের শায়খগণ শাইখ-উল-ইসলামের ছাত্রত্ব গ্রহণ করে নিজেদেরকে ধন্য মনে করে থাকেন। গাউসে পাক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুসহ আল্লাহ্‌র অনেক অলির ফয়েজপ্রাপ্ত শাইখ-উল-ইসলাম জ্ঞানের ৫৫টিরও অধিক শাখায় সহস্রাধিক পুস্তক রচনাসহ পবিত্র কুরআনের কালজয়ী বিশ্বকোষ রচনা করেন।

শাইখ-উল-ইসলামের বহুমাত্রিক জ্ঞানের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে ইরফান-উল-কুরআনে। কুরআনের জটিল বিষয়ের সহজ উপস্থাপনা, বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ, অস্পষ্ট এবং দুর্বোধ্য আয়াতগুলো সর্বসাধারণের বোঝার স্বার্থে ব্র্যাকেটে নিজস্ব মতামত উপস্থাপনা এবং সর্বোপরি তাঁর এই অনবদ্য অনুবাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লামসহ অন্যান্য নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালামগণের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

ইরফান-উল-কুরআন কেবল কুরআনুল কারীমের সরল-সহজ অনুবাদই নয়, এটি একইসাথে সংক্ষিপ্ত তাফসীরও। আল্লাহ্‌ পাক একদিকে বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই আমরা উপদেশের জন্যে সহজ করে দিয়েছি কুরআন, অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?’ [৫৪-১৭] অন্যদিকে তিনিই বলেন, ‘(এভাবে) আল্লাহ্ একই বিষয়ের মাধ্যমে অনেককে গোমরাহ্ করেন এবং অনেককে হেদায়াত দান করেন’ [২-২৬]। কুরআনের কিছু আয়াতের জটিল অর্থ হবার কথা আল্লাহ্‌ পাক নিজেই ঘোষণা করেছেন সূরা আলে-ইমরানের ৭ নম্বর আয়াতে। কোথাও আয়াতের মাঝে কিছু শব্দ উহ্য থাকা এবং কোথাও ভাষান্তরে কিছু কথা অসম্পূর্ণ বোধ হওয়া কুরআনের ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এটি আরবি ভাষার ব্যতিক্রমধর্মী এক বৈশিষ্ট্য। এক ভাষার ভাব ও অভিব্যক্তি অন্য ভাষায় প্রকাশ করা কিছুটা জটিল। শাইখ-উল-ইসলাম এরকম জটিল স্থানগুলোতে সংক্ষিপ্ত তাফসীরের আকারে বন্ধনীর ভেতরে নিজস্ব মতামত যুক্ত করে দিয়েছেন। ফলে সাধারণ কারো জন্যেও জটিল বিষয়গুলো অনুধাবন করা সহজ হয়েছে। কুরআনের অনুবাদের ক্ষেত্রে এরকম সংক্ষিপ্ত তাফসীর বিশ্বের মাঝে এটিই প্রথম। ভাষা, ব্যাকরণ এবং ভাবের কোনও অসঙ্গতি ছাড়াই একই সাথে ব্র্যাকেটসহ এবং ব্র্যাকেট ছাড়া পড়া সম্ভব। ব্র্যাকেটের বাইরে রয়েছে মূল এবারতের অনুবাদ আর ব্র্যাকেটের ভেতরে রয়েছে শাইখ-উল-ইসলামের যুক্ত করা তাফসীর।

বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ

এ কুরআন বিজ্ঞানময়। সূরা ইয়াসীনের দ্বিতীয় আয়াতেই আল্লাহ্‌ পাক বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ করেছেন। বিজ্ঞানময় কুরআন আসলে কী? আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের ফলে কুরআনের অনেক বিষয় মানবজাতির কাছে দিন দিন পরিষ্কার হচ্ছে। বিগত শতাব্দীতেও যেসব আয়াত মানুষের বোধগম্য হয়নি, বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে সেগুলো নতুনত্ব নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। অনেকেই কুরআনের বিজ্ঞানবিষয়ক আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন। তবে কুরআনের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানভিত্তিক অনুবাদ এটিই প্রথম এবং একমাত্র অনুবাদ। শাইখ-উল-ইসলামের সম্মানিত পিতা ছিলেন একই সাথে মেডিক্যাল ডক্টর এবং সুফিবাদি আলেমে দ্বীন। ফলে শাইখ-উল-ইসলাম ছোটবেলা থেকেই ইসলামের জটিল বিষয়ের সাথে পরিচিত। বিজ্ঞানময় কুরআনের অনুবাদ তাই তাঁর ইরফান-উল-কুরআনে নতুনত্ব নিয়ে ধরা দিয়েছে।

পদার্থ বিজ্ঞানীরা মাত্র সেদিন খুঁজে বের করেছেন যে, সৃষ্টির শুরু একটি বিস্ফোরণ তথা বিগ-ব্যাং-এর মাধ্যমে। অথচ কুরআন সেই ১৪শ বছর পূর্বেই বিগ-ব্যাং থিওরির ধারণা দিয়েছে। সূরা আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ পাক অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আর কাফেরেরা কি ভেবে দেখে না যে, সমস্ত ঊর্ধ্বস্থ মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী (সবকিছু) একটি এককের আকারে যুক্ত ছিল; অতঃপর আমরা তাদেরকে পৃথক করে দিয়েছি?’ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড যে সম্প্রসারণশীল বিজ্ঞান তা কিছুদি পূর্বে অবগত হয়েছে। অথচ কুরআন এ ব্যাপারেও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে ১৪শ বছর পূর্বেই। সূরা যারিয়াতের ৪৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ পাক ঘোষণা করেন, ‘আর আমরা ঊর্ধ্বস্থ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নির্মাণ করেছি মহাক্ষমতাবলে এবং অবশ্যই (এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে) আমরা উত্তরোত্তর সম্প্রসারণ করছি।’ চন্দ্র, সূর্য এবং মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু যে আবর্তনশীল সে কথা বিজ্ঞান এখন বলছে, অথচ কুরআন সে ব্যাপারেও আমাদেরকে বারবার অবগত করেছে। সূরা ইয়াসীনের ৪০ নম্বর আয়াতটি তার একটি প্রমাণ। ‘(নিজ কক্ষপথ ছেড়ে) সূর্য না পায় চন্দ্রের নাগাল এবং রাত্রি না করে দিবসকে অতিক্রম। আর (গ্রহ-নক্ষত্রের) প্রত্যেকে পরিভ্রমণ করে নিজ নিজ কক্ষপথে।’

এভাবে প্রজ্ঞাময় কুরআনের অসংখ্য আয়াতে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অসংখ্য বিষয়ের অবতারণা লক্ষণীয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, ভূগোল, রসায়ন, জীববিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, শরীরবিদ্যা, ভ্রূণবিদ্যা, চিকিৎসা-বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এর কয়েকটি মাত্র। শাইখ-উল-ইসলাম বিজ্ঞানের এ আয়াতগুলো অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্যে অত্যন্ত সহজ এবং বোধগম্য করে তুলে ধরেছেন।

যথাযত সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ অনুবাদ

সাধারণ অনেক অনুবাদেই পাঠক হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন বিভিন্ন আয়াতের বাংলা এবং অন্যান্য অনুবাদে যথাযথ সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষা করা হয়নি। সূরা আবাসার ১১ নম্বরের আয়াতের অনুবাদে অনেক অনুবাদকই আঁকা আলাইহিস সালামকে ধমকের সূরে সাবধান করেছেন। নাউজুবিল্লাহ! অথচ মূল আরবি এবারতে ধমকের বিষয়ই উল্লেখ নেই। “কক্ষনো এরূপ করবেন না, এটি উপদেশ!” মূল এবারতে না থাকলেও এরূপ সংযোজন করেছেন প্রায় সব অনুবাদকই। অথচ শাইখ-উল-ইসলাম এ আয়াতটির অনুবাদ করেছেন এভাবে, ‘(হে আমার মহিমান্বিত হাবীব!) আসলে তা নয়! নিঃসন্দেহে এ (কুরআনের পবিত্র আয়াতসমূহ) তো উপদেশ।‘

সূরা দ্বোহার ৭ নম্বর আয়াতের অর্থ প্রায় সব অনুবাদকই “দ্বা-ল্লান” শব্দের অনুবাদ করেছেন, “পথভ্রষ্ট” হিসেবে। নাউজুবিল্লাহ! অথচ শাইখ-উল-ইসলাম এ আয়াতের বহুমাত্রিক অনুবাদ করেছেন এভাবে,

‘আর তিনি আপনাকে পেয়েছেন তাঁর ভালবাসায় নিমগ্ন ও আত্মহারা, অতঃপর তিনি আপনাকে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করিয়েছেন।’

অথবা: ‘তিনি আপনাকে বিপথগামী সম্প্রদায়ের মধ্যে (পথপ্রদর্শনকারীরূপে) পেয়েছেন, অতঃপর তিনি (তাদেরকে আপনার মাধ্যমে) হেদায়াত দিয়েছেন।’*

[বহুমাত্রিক অনুবাদের পাশাপাশি তিনি আবার এ আয়াতের কিছু ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণও করেছেন পাদটীকায়। * এ অনুবাদে ‘দ্বাল্লান’শব্দটিকে ‘ফাহাদা’এর মাফউল মুকাদ্দাম (অর্থাৎ ক্রিয়ার পূর্বে কর্মের উল্লেখ) নির্ধারণ করা হয়েছে। (দেখুন, তাফসীরে কাবীর, কুরতুবী, বাহরে মুহীত, রূহুল বায়ান, শিফা এবং শরহে খুফাজী।)]

একই আয়াতের বহুমাত্রিক অনুবাদ

আল্লাহ্‌ পাক অনেক সময় উল্লেখ করেন এক কথা অথচ এর অন্তরালে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কিছু। কিংবা একই আয়াতের একাধিক অর্থ ও ভাবার্থ রয়েছে। যার কিছু ব্যাখ্যা হাদিসে পাকে এসেছে। শাইখ-উল-ইসলাম এমন আয়াতগুলোর একের অধিক অর্থ সংযোজন করেছেন। সূরা আসর-এর প্রথম আয়াতটি এরকম কিছু আয়াতের একটি।

‘মহাকালের শপথ! (যার আবর্তন মানুষের অবস্থার সাক্ষ্য বহন করে।)’

অথবা ‘শপথ আসর নামাযের! (কারণ তা সকল নামাযের মধ্যবর্তী নামায।)’

অথবা ‘শপথ আসরের সময়ের! (যখন দিনভর আলোবিকীরণকারী সূর্য স্বয়ং অস্তমিত হওয়ার দৃশ্য উপস্থাপন করে।)’

অথবা ‘শপথ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম)-এঁর নবুয়্যতকালীন পবিত্র সময়ের! (যা ঐতিহাসিক, প্রাগৈতিহাসিক এবং অনাগত সকল কালের একমাত্র লক্ষ্য এবং কাক্সিক্ষত অর্জন।)’

ভাষার মাধুর্যতা এবং সহজবোধ্যতা

ইরফান-উল-কুরআনের যে বিষয়টি পাঠকমণ্ডলীকে সবচে বেশি মুগ্ধ করবে তা হলো এর ভাষা, শব্দের ব্যবহার, সাবলীলতা, সহজবোধ্যতা, ভাষার গতিশীলতা এবং কুরআনের মূল ভাব ও কাব্যিকতার সাথে মিল রেখে সুখপাঠ্য অনুবাদ। বাংলা ভাষায় এ বিষয়টি বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ফলে পাঠক পবিত্র কুরআনুল কারীম পাঠ করতে গিয়ে ক্লান্তি বা অবসাদের কবলে পড়বেন না। পাঠকের কথা বিবেচনায় নিয়ে এর এক পাশে রাখা হয়েছে মূল আরবি এবং অন্য পাশে রাখা হয়েছে বাংলা। ফলে কেউ চাইলে কেবল বাংলা অনুবাদ পড়তে পারবেন, আবার কেউ চাইলে কেবল আরবি তেলাওয়াত করতে পারবেন। আবার কেউ চাইলে পাশাপাশি মূল এবারতের সাথে বাংলা অনুবাদ মিলিয়ে পড়তে পারবেন। কুরআনুল কারীমের এমন অনবদ্য পাশাপাশি ছাপা এটিই প্রথম।

সূরা ইয়াসীনে আল্লাহ্‌ পাক তাঁর প্রিয় মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াআলিহী ওয়াসাল্লামকে কেবল কবি হিসেবে প্রেরণ করেন নি বলে ঘোষণা করেছেন। অপরদিকে কুরআনের অনেক আয়াতেই অদৃশ্য ছন্দ ও ভাব লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে ১৫তম পারার পর থেকে এবং মক্কায় অবতীর্ণ সূরাগুলো কাব্যিক আকারে অবতীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ত্রিশ পারার সূরাগুলো ছোটো ছোটো কাব্যিক ভাবধারায় ফুটে উঠেছে। বাংলা অনুবাদে সে বিষয়টির প্রতি বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।

পরিশেষে, এ অনুবাদের ভুলত্রুটি, বানান ভুল এবং টাইপিং-এর ত্রুটিগুলোর দায় একান্তই আমার উপর। অপরদিকে এর সুখপাঠ্য দিক, সহজবোধ্যতা, সাহিত্যমান এবং সর্বোপরি চমৎকারিত্বের কৃতিত্ব আমাদের মিনহাজ নিরীক্ষণ বোর্ডের সবার। আল্লাহ্‌ পাক আমাদের ভুলত্রুটিগুলো মার্জনা করে এই অনুবাদটি তাঁর পাক দরবারে কবুল করে সবাইকে উত্তম জাজা দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন। বিহুরমাতি সাইয়্যিদিল মুসালীন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment