==================
জগত বিখ্যাত আলেমে দ্বীন, রহিসুল ওলামা, শামছুল মাশায়েখ, মোজাহেদে দ্বীন ও মিল্লাত, মোনাজারে আজম, সুন্নী আন্দোলনের অগ্রনায়ক, বাতিলের আতংক, আপোষহীন বক্তা ও কলম সম্রাট, রাইহান উল্লাহ্, রাইহানুর রাসুল, নিশানে গাউসুল আজম, শমশীরে বাংলা, আক্বাঈদে ইমামে আহলে সুন্নাহ, পীরে তরিকত, রাহনুমায়ে শরীয়ত, ওস্তাজুল ওলামা, খলিফা-এ-বাগদাদ, আমার দাদার দাদা হযরত ভোলা গাজী মিয়াজী রাহিমাহুমুল্লাহ-এর সুযোগ্য নাতি অধ্যক্ষ্য আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ আব্দুল জলিল আমিয়াপুরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির অন্তর্ধানের ৬ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উনার কোন জীবনী প্রকাশিত হলো না। এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।
তরুণ প্রজন্মের কাছে উনি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো জানবেই না এই সিংহসম মহাপুরুষ কে ছিলেন আর সুন্নিয়তের খেদমতে উনার অবদানই বা কী ছিল। যেই সিংহের সামনে বাতিলেরা ভীত হয়ে যেত, যার ইলম, ব্যক্তিত্ব আর উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার সামনে সবাই নত হয়ে যেত, সেই সিংহপুরুষের জীবনী কেউ জানবে না তা কি করে হয়!
আমার জানামতে সুন্নীবার্তায় উনার জীবনের উপর স্বল্প সংখ্যক লেখক নিজেদের স্মৃতিচারণ করেছেন মাত্র। উনার জীবন ও সংগ্রামী অর্জনের উপর তেমন কিছুই লেখা হয় নি।
আমার মনে চায়, আমি উনার জীবন নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করি। আমার সাথে উনার অনেক পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত স্মৃতি রয়েছে যেগুলো নিঃসন্দেহে পাঠকদের কিছুটা হলেও এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ সম্পর্কে অবগত করবে। দেশে এখনো এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সাথে এই মহামানবের অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। সবাই এক সাথে সেসব স্মৃতি একত্রিত করতে পারলে শিক্ষণীয় একটি পুস্তক হতে পারতো। সময় বড় নিষ্ঠুর। Better late than never! অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবার আগেই উনার চারপাশের ওলামা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, ছাত্র এবং ভক্তদের রেফারেন্সে নিয়ে একটি জীবনী রচনা না করলে উনার প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞতা করা হবে।আমি আপনাদের মতামত প্রত্যাশা করছি।
Leave a Reply