পীস টিভি দেখছেন তো নিজের অজান্তেই ঈমানহারা হচ্ছেন!

 ===================
ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী
—–
আহলে খবিসেরা এখন নতুন ফন্দি নিয়ে মাঠে নেমেছে। পীস টিভিসহ তাদের সকল মিডিয়াতে মানুষকে ধোঁকা দেবার নতুন কৌশল বের করেছে তারা। আর তা হলঃ শবে বারাত, শবে মেরাজ, ঈদে মীলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) কেবল আমাদের ভারতবর্ষেই পালিত হয়। অন্যান্য দেশে হয় না। যারা পীস টিভির সামনে বসে থাকেন, তারা মনে করেন, হায় তাই তো! সাধারণ মুসলমান অন্য কিছু ভাবার আগেই নিজের মনকে ধিক্কার দিতে থাকে, হায় হায়, কথা তো সত্য। এটা মনে হয় আমাদের দেশেই হয়, অন্য কোথাও হয় না। আর ভাবনা থেকেই তারাও মুফতি সেজে শবে বারাত, শবে মেরাজ আর ঈদে মীলাদুন্নাবী (দঃ) এর মত অত্যন্ত মর্যাদার উৎসবগুলো থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করছেন। একজন খবিস আবার আমাকে ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়েছে, আমরা শিক্ষিত হয়েও বাপদাদার আক্বীদাকে অনুসরণ করছি। নাউজবিল্লাহ! অর্থাৎ তাদের বাপদাদারা ভ্রান্ত বাতেল আক্বীদার উপর ছিল আর তারা শিক্ষিত হয়ে তা বুঝতে পারছে। কেমন জাহেল আর বেখবর! আহলে হাদিস আর সালাফী নামধারী মুনাফিকেরা মানুষকে এমন ভাবে ঈমানহারা করছে যে তারা বুঝতেই পারছে না, তাদের ঈমান, আক্বীদা আর আমল সব বরবাদ হয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদেরকে ইবলিশের মত মহা জ্ঞানী মনে কর থাকে! আফসোস!
শবে বারাত নিয়ে অসংখ্য হাদিস বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থেই রয়েছে। এর মধ্যে জামে তিরমিজি উল্লেখযোগ্য। জামে তিরমিজির পূর্বের অনেক কিতাবেও এর উল্লেখ রয়েছে। এবার প্রশ্ন জামে তিরমিজি কি ভারতবর্ষের লোকেরা সংকলন করেছেন? ভারতবর্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম আসে ১২০০ শতাব্দির শুরুতে। আর জামে তিরমিজি সংকলিত হয়েছে ৮৮৪ ঈসায়ী সনে (২৭০ হিজরিতে) অর্থাৎ ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম আসার সাড়ে তিনশ বছর আগে। তাদের মিথ্যাচারের জবাব কে দেবে?
শবে বারাত নিয়ে আরও যেসব সহীহ হাদিস রয়েছে সেসব কিতাবগুলো জামে তিরমিজির অনেক আগের। যেমনঃ {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং১৭০২, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং৬৭৭৬, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং২১৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং১৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং৬২০৪}
ঈদে মীলাদুন্নাবী (দঃ) কেবল আমাদের ভারতবর্ষেই পালিত হয়না, সৌদি আরব ব্যতীত বিশ্বের সব মুসলিম দেশেই তা পালিত হয়। শবে মেরাজের ক্ষেত্রেও একই কথা। কিন্তু তারা মানুষকে খুব সহজেই ধোঁকা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর তাদের ওইসব অপপ্রচারের ফলে তৈরি হচ্ছে একদল ফেসবুক মুফতি। যারা আহলে খবিসদের অনূদিত ভুলে ভরা হাদিসগ্রন্থ আর কিতাবাদি পরে নিজেজে মহা পণ্ডিত মনে করছে। সে যে নিজের অজ্ঞাতেই ঈমানহারা হচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই। আল্লাহ্‌ আমাদের ঈমান, আক্কীদা আমলকে হেফাজত করুণ। আমীন!

কাজেই মুসলমান! পীস টিভির মিথ্যাচার থেকে নিজের ঈমান, আক্বীদা আর আমল রক্ষা করুণ!

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *