মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকে নূর বিষয়ক হাদিসঃ

বাতিল এবং মিথ্যাচারীদের গালে চপেটাঘাত করবে যে ভিডিও
=============================
ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী [https://www.facebook.com/DrMiaji]
الحمدلله رب العالمين والصلاة والسلام على سيدنا محمد رسوله الكريم
নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর শান ও মানের প্রসংগ এলেই কিছু লোকের চরম অশান্তি শুরু হয়ে যায়। তারা কুরআনের খণ্ড খণ্ড কিছু আয়াত শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করে যে নবীজি (দঃ) আমাদের মতই মানুষ। তারা আরও প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে নবী (দঃ) মাটির মানুষ। নাউজবিল্লাহ! তারা যুক্তি দেয় কুরআনের কিছু আয়াত দিয়ে। “আদম মাটি থেকে তৈরি। আর আমরা সবাই আদম সন্তান, কাজেই আমরা সবাই মাটির তৈরি!” এই হল এদের খোঁড়া যুক্তি। সবাই মাটি তৈরি হলে, আল্লাহ পাক যে পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন আয়াতে বলেছেন, তিনি মানুষকে একখণ্ড রক্তপিণ্ড থেকে তৈরি করেছেন, তাহলে কাদেরকে সেই রক্তপিণ্ড থেকে তৈরি করেছেন? কোথাও রয়েছে আল্লাহ মানুষকে পানি থেকে তৈরি করেছেন। আবার কোথাও রয়েছে তিনি মানুষকে তৈরি করেছেন বীর্য থেকে। এর জবাবই বা কি? মা হওয়া (আঃ) কিসের তৈরি? ঈসা রুহুল্লাহ কিসের তৈরি? যে নবীজি (দঃ) এর দেহ মুবারক থেকে মেশক আম্বরের ঘ্রাণ আসত, যার ঘাম মুবারক থেকে সুঘ্রাণ আসত। তিনি কিসের তৈরি ছিলেন? তিনিও আমাদের মত দোষেগুণে মানুষ ছিলেন? বিভন্ন সময়ে বিভিন্ন দলিলাদি দিয়ে তাদের এই মিথ্যা এবং খোঁড়া যুক্তির জবাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোন কিছুতেই পরিবর্তন হবার নয়। কারণ আল্লাহ পাক তাদের অন্তরে সীল মেরে দিয়েছেন। ফলে তারা সব কিছু দেখে কিন্তু অনুধাবন করতে পারেনা।

ফেসবুকে কিছু অর্বাচীন এবং মুর্খ রয়েছে। তাদের কাজই হল ধোঁকা দিয়ে সহজ সরল মুসলমানকে সত্য এবং সঠিক পথ থেকে বিতাড়িত করা। শয়তান যে কাজের দায়িত্ব নিয়েছে, তারা শয়তানের দোসর হয়ে সে একই কাজ করে যাচ্ছে। কুরআনের আয়াতের পাশাপাশি বেশ কিছু সহীহ হাদিস রয়েছে যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে নবী (দঃ) আমাদের মত মানুষ ছিলেন না। তিনি বাশার অর্থাৎ সুরতে আমাদের মত মানুষ ছিলেন। কিন্তু হাকিকতে তিনি ছিলেন নূর। ফলে তিনি একাধারে ৪১ দিন না খেয়ে রোজা (সাওমে বেসাল) রাখতে পারতেন। কোন মানুষের পক্ষে কি সম্ভব তা করা? যে হাদিসে সৃষ্টির আদিঅন্ত সব বর্ণনা করতে গিয়ে মহানবী (দঃ) কে আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্ট বলা হয়েছে সে হাদিসটিকে তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে মিথ্যা প্রমাণের অপচেষ্টা করে আসছে। তাদেরকে উক্ত হাদিসের সত্যতার ব্যাপারে বিভিন্ন দলীল দেয়া হয়েছে। সব দলীলকে তারা মিথ্যা আর “রেজভিদের” বানানো বলে উড়িয়ে দেবার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।

এ কারণে আজকে এই ভিডিওটি পোস্ট করছি সচেতন পাঠকের জন্য। উক্ত কিতাবটি ২০০৫ সালে লেবননের রাজধানী বৈরুত থেকে সর্বশেষ প্রকাশ করা হয়েছে। এ কারণে আগের মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাকের সাথে এই কিতাবের পৃষ্ঠা নং-এ পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু মুর্খ প্রশ্ন তোলে, ভিন্ন ভিন্ন পৃষ্ঠা নম্বর কেন? এটি ফটোশপ দিয়ে করা “রেজভিদের” কারসাজী। দেখুন তো মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) এর কিতাবের ১৮ নম্বর হাদিসটি কি আমাদের বানানো? আর এই হাদিসের সাথে আমার আগের দেয়া স্ক্রিনশটের মিল খুঁজে পান কিনা? এর পরেও যারা এ নিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেবে তাদেরকে এর জবাবদিহি করতে হবে কাল হাশরের দিন। এ দুনিয়ায় মিথ্যা আর ছল-চাতুরি দিয়ে পার পেলেও পরকালে তাদের ছলচাতুরী কোনই কাজে আসবেনা।

মিথ্যাবাদীদের কিছু লিঙ্কঃ
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=1496597007255132&set=a.1420072001574300.1073741828.100007145407156&type=1&theater

https://www.facebook.com/nurunnabi.feni.96/posts/1515291452052354

তাদের মিথ্যার জবাবে আমার প্রথম প্রচেষ্টাঃ
https://www.facebook.com/DrMiaji/photos/pb.1420687501498059.-2207520000.1415572562./1530922197141255/?type=3&theater

[এই ভিডিওটি যোগাড় করার পিছনে অনেক লম্বা কাহিনী রয়েছে। মিশরে আল-আজহারে আমাদের কিছু দীনী ভাই পড়াশোনা করছেন। প্রথমে সায়্যেদ মুহাম্মাদ হাসান ভাইজানকে অনুরোধ করেছিলাম এই কিতাবের কভার পেজ সহ উক্ত হাদিসের স্ক্রিনশট দিতে। তিনি অতি দ্রুত তা আমাকে প্রেরণ করেন। মিথ্যাবাদীদের অপপ্রচার, অপবাদ এবং প্রতারণা বন্ধ না হওয়ায় হাসান সাহেবকে আবার অনুরোধ করি উক্ত কিতাবের একটি ভিডিও দেবার জন্য। নেটের সমস্যার কারণে তিনি যারপর নাই চেষ্টা করেও পুরো ভিডিওটি দিতে পারেন নি। তাঁর অক্লান্ত চেষ্টা এবং আন্তরিকতা আল্লাহ পাক কবুল করুণ আর এর উত্তম প্রতিদান দান করুণ। আমীন। আমাকে ট্যাগ করে কিছু মিথ্যাবাদী তাদের অপপ্রচার চালু রাখায় পরে আল-আজহারে অধ্যয়নরত আরেক দীনী ভাই আব্দুল মোস্তাফা রহীমকে গতকাল অনুরোধ করি উক্ত কিতাবের একটি ভিডিও দিতে। তিনি অনেক সময় ব্যয় করে আজকেই আমাকে এই ভিডিওটি দিয়েছেন। ভাইবারে সম্ভব না হওয়ায় হোয়াটসআপ নামক একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশাল এই ফাইলটি পাঠান তিনি। ধন্যবাদ দিয়ে তাদেরকে ছোটো করবো না। সুন্নীয়তের জন্যে তাদের এই পরিশ্রম, অক্লান্ত চেষ্টা, মনের বাসনা, সময় সব কিছুই আল্লাহ পাক কবুল করবেন আর এর বিনিময়ে দিবেন উত্তম প্রতিদান। মহান আল্লাহ পাকের দরবারে লাখো লাখো শুকরিয়া। ধন্যবাদ সবাইকে। অনুগ্রহ করে ভিডিওটি সবার সাথে শেয়ার করুণ আর লাইক দিন যাতে আপনার অন্যান্য বন্ধুরাও এটি দেখতে পারেন।]

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *