সন্ত্রাসবাদের উস্কানি দাতা ডঃ বিলাল ফিলিপ্স বাংলাদেশ নিষিদ্ধ

===================================
সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দাতা হিসেবে পরিচিত নব্য মুসলিম, টিভি ব্যক্তিত্ব ডঃ বিলাল ফিলিপ্সকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। এর আগে তাকে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। সিয়ান নামের আহলে হাদিসের একটি অংগসংগঠনের আমন্ত্রণে তিনি ১৯ জুন ২০১৪ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন। পরে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উস্কানির অভিযোগ এবং ইসলামী আক্বীদা নিয়ে মনগড়া বক্তব্যের কারণে নিরাপত্তার অজুহাতে তাকে দেশ ত্যাগে অনুরোধ জানান হয়। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে ধর্ম প্রচারে অংশ নেয়া আইন বহির্ভূত।

কে এই বিলাল ফিলিপ্স?
————————
জামাইকার অধিবাসি ডঃ আবু আমিনা বিলাল ফিলিপ্স কানাডায় পড়াশুনার সময় ১৯৭২ সালে ইসলামে দীক্ষিত হন। সৌদি আরবে পড়াশুনার বদৌলতে তিনি ওহাবীবাদের সাথে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেন। বর্তমানে তিনি কাতারে বসবাস করছেন। Online Islamic University নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি তিনি Peace TV-তে নিয়মিত বক্তা হিসেবে নিয়োজিত।

কেন তিনি বিতর্কিত?
———————
• আত্মঘাতি বোমারুদের পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, “বিশাল এবং অতি আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীর বিরুদ্ধে একজন আত্মঘাতী বোমারু ভাল উদ্দেশ্যে নিজের জীবন দিয়ে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলেন। পাশাপাশি অন্য অনেকের জীবন রক্ষায় ভুমিকা রাখেন। কাজেই একে আত্মঘাতী বলা ঠিক হবে না।”
• বিবাহিত দম্পতিদের মাঝে ধর্ষণ বলে কিছু নেই।
• ১৯৯৩ সালে টুইন-টাওয়ারে হামলায় তার বিরুদ্ধে পরোক্ষ অভিযোগ রয়েছে।
• এ বছরের শুরুতে প্রাগের একটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে পুলিশি অভিযানে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয় যার মধ্যে বিলাল ফিলিপ্সের বই “The Fundamentals of Tawheed” এর প্রকাশক ও ছিলেন। এই বইটি সন্ত্রাসবাদে এবং বর্ণবাদে উস্কানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত।

ডঃ বিলাল ফিলিপ্সের কিছু ওহাবী আক্বীদা
————————–————
অন্যান্য ওহাবী সালাফী নামধারীদের মত ডঃ বিলাল ফিলিপ্সও তার বিভিন্ন লেকচারে প্রায়ই আক্বীদা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তার আক্বীদা মতে
• “ইয়া নাবী সালামু আলাইকা” বলা শিরক
• নামাজে তাশাহুদে “আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবী” বাদ দিয়ে “আসসালামু আলান্নাবী” বলা উচিত বলে তিনি মনে করেন। কারণ নবী (দঃ) এখন আর বর্তমান নন।
• উছিলা ধরা শিরক, এমন কি তা যদি হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানা হয় তবুও
• তার মতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত এবং আমাদের ডাকে সাড়া দেবার ক্ষমতা রাখেন না। অর্থাৎ তিনি হায়াতুন্নাবী নন, নাউজুবিল্লাহ
• কাজেই নবী (দঃ) কে “হে নবী” বলে ডাক দেয়া শিরক কারণ তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিতে পারেন না।
• ঈদে মীলাদুন্নাবী (দঃ) বিদাত
• মীলাদ-কিয়াম বিদাত
• নবী (দঃ) আমাদের মতই মানুষ বই কিছুই নন। নাউজুবিল্লাহ!
• কবর জিয়ারত কবর পুজার সমান
• মাজহাব মানা শিরক

 ডঃ বিলাল ফিলিপ্স তথা ওহাবী, আহলে হাদিস, লা-মাজহাবী সালাফী নামধারী ইসলাম বিধ্বংসী ফের্কার ভুল আক্বীদার জবাব আমরা ক্রমে ক্রমে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সাথেই থাকুন আর নিজের ঈমান ও আক্বীদাকে হেফাজতে রাখুন। নিচের ২টি লিংক থেকে সহীহ হাদিসের আলোকে ডঃ বিলাল ফিলিপ্সের বক্তব্যের কিছু জবাব পাবেন। ধৈর্য ধরে ভিডিও দুইটি দেখুন।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ঈমান ও আমলে নিরাপদ রাখুন। আমীন!

https://www.facebook.com/photo.php?v=821719454504832&set=vb.334016743275108&type=2&theater

https://www.facebook.com/photo.php?v=824827617527349

ইনশাল্লাহ আশা রাখি উপরের লিংকে ডঃ বিলাল ফিলিপ্সের ভ্রান্ত আক্বীদার জবাবে ভিডিও গুলোর বাংলা অনুবাদ সহসাই পোস্ট করব।

Dr Abdul Baten Miaji https://www.facebook.com/DrMiaji

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *