পবিত্র কা’বার ভেতরের দেয়ালে নজদী বাদশাহ খালিদের নামঃ এটি কি বিদাত নয়?
নজদী-পুজারীরা কী বলবেন?
============
আপনাদের মনে থাকার কথা্ গত ২০১৪-এর সেপ্টেম্বর মাসে ইমাম মুহাম্মাদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ আলী বিন আব্দুল আজিজ নামের এক ওহাবী শিক্ষক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর দুই সাথী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার পবিত্র রওজা মুবারক সরিয়ে ফেলে, উম্মুল মুমেনীনগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) এবং মা ফাতেমা রাদিউয়াল্লাহু আনহার খাস কামড়া মসজিদে রূপান্তরের প্রস্তাব করেছিলো! পবিত্র রওজা …মুবারকের গম্বুজ, দেয়ালের ডিজাইন, বিভিন্ন প্রশংসাসূচক বাণী, নবী (দঃ) এর শানে বিভিন্ন কথা ও কারুকার্য মুছে মসজিদে নববী (দঃ) কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেবার কথা বলা হয়েছিল। তার দাবী ছিল, সেসব বিদআতের অন্তর্ভুক্ত অথচ খোদ কা’বার ভেতরে দেয়ালেই তাদের বাদশাহর নাম কৌশলে লিখে রাখা হয়েছে। অন্য মুসলমান কিছু করলেই শিরক আর বিদআতের ফতোয়া নেমে আসে। নজদী ওহাবীদের এই ধরণের ফতোয়ায় অনেক মুসলমানকে এরা মুশরিক মনে করে হত্যা করেছে এবং এখনো করে চলেছে। কিন্তু আমাদের পবিত্র কা’বার ভেতরের দেয়ালে অত্যন্ত কৌশলে নজদী বাদশাহ খালেদ বিন আব্দুল আজীজের নাম লিপিবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। এটা কি নজদী পুজার নিদর্শন নয়? এটা কি বিদাত নয়? নজদী পুজারী, সালাফী, আহলে হাদীস, ওহাবী নামধারী মুনাফিকেরা কী বলবেন এখন?
চলুন দেখা যাক ওই লিপি-শিলাতে কি লিখা রয়েছেঃ
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন। ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু ‘আলা আশরাফিল মুরসালীন সাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদ ওয়া ‘আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাঈন।
হারামাইন শরীফ দ্বয়ের সম্মানিত খাদেম মহামান্য বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজীজ আল-সউদের নির্দেশক্রমে পবিত্র কা’বা শরীফের সিঁড়ি সংস্কার করা হয়। উক্ত নেক আমলটি যেন আল্লাহ পাক কবুল করেন।
মাহে রবিউল আউয়াল, ১৩৯৭ হিজরী।
এভাবে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর প্রিয় সাহাবা (রাঃ) দের নাম মুছে দিয়ে নিজেদের বাদশাহদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। এরকম করা হয়েছে কা’বার গিলাপে, এবং খোদ মসজিদে নববী (দঃ) এর কয়েকটি গেইটেও। আল্লাহ তাঁর পবিত্র স্থানসমূহ এই নজদী ওহাবীদের কব্জা থেকে মক্ত করুক! সবাই মন্তব্যে লিখুন “আমীন!”