সাফা পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সায়ী শুরু করতে হয়
======================
ছবিটি নেয়া হয়েছে সাফা পাহাড়ের টিলার উপর থেকে। হজ বা উমরাহ্ পালনকালে এখান থেকেই শুরু করতে হয় সায়ী। অর্থাৎ এখান থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে মারওয়া পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত গিয়ে আবার সাফার দিকে আসতে হয়। এভাবে তিনবার দৌড়ে মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসত…ে হয়। সায়ী শেষ করতে হয় মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে। সর্বমোট ৭ বার দৌড়কে সায়ী বলা হয়। সাফা থেকে মারওয়া পাহাড়ের দূরত্ব আনুমানিক ৭৫০ মিটার। (৭৫০ * ৭ = ৫২৫০ মিটার অর্থাৎ প্রায় সোয়া ৫ কিলোমিটার দৌড়াতে হয়।)
উরওয়া রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, মহান আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে আপনার অভিমত কি ? (অনুবাদ) সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। কাজেই যে কেউ কাবাঘরে হজ্জ বা উমরা সম্পন্ন করে, এ দুটির মাঝে যাতায়াতে করলে তার কোন দোষ নেই। (২ : ১৫৮) (আমার ধারণা যে,) সাফা-মারওয়ার মাঝে কেউ সায়ী না করলে তার কোন দোষ নেই। তখন তিনি (আয়িশা রা.) বললেন, হে ভাতিজা ! তুমি যা বললে, তা ঠিক নয়। কেননা, যা তুমি তাফসীর করলে, যদি আয়াতের মর্ম তাই হত, তাহলে আয়াতের শব্দবিন্যাস এভাবে لا جناح عليه أن لا يتطوف بهما হত দুটোর মাঝে সায়ী না করায় কোন দোষ নেই। কিন্তু আয়াতটি আনসারদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মুশাল্লাল নামক স্থানে স্থাপিত মানাত নামের মূর্তির পূজা করত, তার নামেই তারা ইহরাম বাঁধত। সে মূর্তির নামে যারা ইহরাম বাঁধত তার সাফা-মারওয়া সায়ী করাকে দোষ মনে করত। ইসলাম গ্রহণের পর তাঁরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! পূর্বে আমরা সাফা ও মারওয়া সায়ী করাকে দূষণীয় মনে করতাম। (এখন কি করব ?) এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ পাক إن الصفا والمروة من شعائر الله الآية অবতীর্ণ করেন। আয়িশা রা. বলেন, (সাফা ও মারওয়ার মাঝে) উভয় পাহাড়ের মাঝে সায়ী করা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিধান দিয়েছেন। কাজেই কারো পক্ষে এ দুয়ের সায়ী পরিত্যাগ করা ঠিক নয়।
[বুখারীঃ ১৫৪১]