কোনও বিভাজনের সংস্কৃতি ভারতের আত্মা নয় -দেবযানী ভৌমিক চক্রবর্তী
আমরা যখনই কোনও জওয়ানের কাছে শুনি যে, তিনি জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত তখনই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ সেখানে জীবনের ঝুঁকি অনেক বেশি। লিখছেন দেবযানী ভৌমিক চক্রবর্তী
ডক্টর মিয়াজী ডট কম | drmiaji.com
Articles on contemporary Muslim World!
আমরা যখনই কোনও জওয়ানের কাছে শুনি যে, তিনি জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত তখনই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কারণ সেখানে জীবনের ঝুঁকি অনেক বেশি। লিখছেন দেবযানী ভৌমিক চক্রবর্তী
মানবজাতির শিক্ষক হজরত মুহাম্মদ (ﷺ), তিনি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা শিক্ষক নন। মানব জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ের শিক্ষক। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন মুক্তির দূত হিসেবে। তিনি শুধু বাণী পৌঁছে দিয়েই তার দায়িত্ব পালন করেননি, নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন করে আদর্শ উপস্থাপন করেছেন। ব্যবহারিক বিজ্ঞানের শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন।
ভারতের এনআরসি মানে আসামের তথাকথিত বৈধ ভারতীয় নাগরিক বাছাই। কারা ভারতীয় নয়, তা খুঁজে বের করার নামে এক মুসলমানবিদ্বেষী প্রক্রিয়া। যার পেছনের বিদ্বেষী ভাবনা হলো, আসামের কোথাও কোনো মুসলমানকে পাওয়া গেলেই তা নিশ্চিত ধরে নেয়া যে সে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ উদ্বাস্তু। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে গত ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিন বছরের মধ্যে এই নাগরিক তালিকা তৈরির কাজ শেষ করে এক চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে- এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
বর এমন একজন মহান পুরুষ যিনি মু’মিনগণের মওলা, জ্ঞানের দরোজা, আহলে বাইতের মধ্যমণি, যাকে ভালবাসলে মু’মিন আর ঘৃণা করলে মুনাফিক, সত্য যাঁর সাথে ঘোরে, যাঁকে ভালোবাসা ঈমান, যাঁর চেহারা দেখাও এবাদত। আর কনে সমস্ত নারী জাতির জন্যে বিশেষ আদর্শের, দুনিয়া এবং আখেরাতে যিনি অতুলনীয় সম্মানীয়, হাশরের ময়দানে আল্লাহ্ পাক যাঁর বেহেশত গমনের সময় সমস্ত হাশরবাসিকে মাথা অবনত করতে নির্দেশ দিবেন, যাঁর বেহেশত গমনের সময় ৭০ হাজার হুর তাঁর রূপ ধারণ করে তাঁকে ঘিরে থাকবে যাতে কেউ বুঝতে না পারে তিনি কোন জন, যিনি রাসূল ﷺ থেকে আর রাসূল ﷺ যাঁর থেকে, যিনি বেহেশতের যুবকদের সর্দারদ্বয়ের মা, তাঁর তুলনা তিনি নিজেই।
দেশ ত্যাগ করে এসে সহানুভূতি কুড়োতে বা দেশত্যাগ করার কাজটি জাস্টিফাই করতে অধিকাংশ মানুষ মুসলিম অত্যাচারের গল্প ফাঁদেন।
তাঁর ভালোবাসা, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে আল্লাহ্র সৃষ্টি হিসেবে যথাযথ মর্যাদা এবং আপন করে নেয়ার মাধ্যমে তিনি একাই প্রায় ৯০ লক্ষ অমুসলিমকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আনতে সমর্থ হন। তিনি ছিলেন সূফী সাধক। ভালোবাসার ফেরিওয়ালা। ভালোবাসা বিলানোই তাঁর কাজ।
আজ থেকে হয়তো ৫০ বছর পর কেউ লিখবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিংবা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিংবা উলটোটাও হতে পারে। এখন থেকে ২৫ বছর পরে সংবাদ ছাপা হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলিয় নেতা আমেরিকান ইহুদি কিংবা ব্রিটেনের খৃষ্টান বংশোদ্ভূত। আজকে যারা বাংলাদেশে নিজেদেরকে সেক্যুলার হিসেবে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করছেন তাদের নাতিপুতিরা একদিন ইহুদি বা খৃষ্টান বা হিন্দু হয়ে ফিরে আসলে অবাক হবেন না।
নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর দিকে দিকে ইসলামের প্রতি মানুষের আগ্রহ বরং বাড়ছে। কোথাও কোথাও অনেকেরই ইসলাম গ্রহণের সংবাদ আসছে। তবে আমাদের উচিৎ হবে, প্রতিটি ঘটনাকে কৌশলে মুকাবিলা করা। ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে নয়, বরং ঘৃণাকে ভালোবাসায় রুপান্তরিত করে সন্ত্রাসীদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে, তোমরা পরাজিত। তোমরা উচ্ছিষ্ট। তোমাদের মিশন ব্যর্থ। ইসলাম বিজয়ী, মুসলমানেরা বিজয়ী। তোমরা ঘৃণা দিয়ে আল্লাহ্র নূরকে নিভিয়ে দিতে চাও, আর আমরা ভালোবাসা দিয়ে তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি সত্যের দিকে। এখন তোমাদের ইচ্ছে, সত্য গ্রহণ করবে নাকি অন্ধকারেই নিমজ্জিত হবে।
============= [পোস্টটি সংগ্রহ করে রাখুন। সময়মত কাজে লাগবে!] ফেসবুক হলো একটি ভার্চুয়াল মীটিং প্লেস! কেউ কাউকে সরাসরি সামনে দেখতে পায় না। হতে পারে কেউ সঠিক নাম ও পরিচয়ে আপনার সাথে কথা বলছে। হতে পারে...
===================ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী (https://www.facebook.com/DrMiaji) শেক্সপেয়ার, ডারউইন, স্টিফেন হকিংসের শহর লন্ডন এখন নানা রঙের আর নানা জাতের মানুষের মিলন-মেলা। বিভিন্ন দেশ থেকে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় পাড়ি দেয়া মানুষের ভিড় জমতে জমতে লন্ডন যেন এখন...
More