Monthly Archive: July 2019

0

আমরা সত্য বলা ভুলে গেছি!

ইউশা আ যখন নব্যুতের দায়িত্ব পান, আল্লাহ্‌ পাকের পক্ষ থেকে একটি ওহী আসে। সেখানে বলা হয়, বনী ইসরাইলের এক লক্ষ লোককে ধ্বংস করা হবে, যাদের মধ্যে ৪০ হাজার সৎ লোকও থাকবে। বাকি ৬০ হাজার থাকবে অসৎ লোক। নবী ইউশা জানতে চাইলেন, অসৎ লোকদের ধ্বংস হবার কারণ জানি, কিন্তু সৎ লোকদের কেন ধ্বংস করা হবে? উত্তরে আল্লাহ্‌ পাক জানান, এর কারণ এ সৎলোকগুলো অসৎলোকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখে। তাদের সাথে পানাহার ও হাসি-তামাশায় যোগদান করে। আমার অবাধ্যতা ও পাপাচার দেখে কখনও তাদের চেহেরায় বিতৃষ্ণার চিহ্ন ফুটে উঠেনি।

0

কা’বার সৌন্দর্য্য

চারকোণা একটি স্থাপনা। কাছ থেকে দেখলে কখনও মনে হয় খুব ছোট। কখনও আবার মনে হয় অনেক বড়। এর চারপাশে রয়েছে মসজিদুল হারাম। দশ লক্ষেরও বেশি মুসুল্লি যেখানে একসাথে নামায আদায় করতে পারেন। মসজিদুল হারাম অতিক্রম করে কা’বার দিকে অগ্রসর হতেই চোখে পড়ে কা’বা! মনে হয় পুরো চত্বর জুড়ে এ ঘরের অবস্থান। প্রশান্ত, প্রশস্ত, শান্তিময় কা’বা।

4

সোলায়মান শাহ রহঃ-এর একটি কারামত

লক্ষ লক্ষ মানুষ আসে এই মেলায়। বিরতিহীন ভাবে চলে ঢোল, নারীপুরুষের সম্মিলিত নাচ। পশ্চিমাদের ডিস্কোর মতো। এটা অলির দোষ নয়। যারা মাজার পরিচালনা করেন তাদের দোষ।

0

এক সময় বাংলাদেশও একটি মুসলিম দেশ ছিল

আমাদের পরিচয় একটাই। আমরা সবাই মানুষ। কোন ধর্ম বা জাতের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ ইসলাম সমর্থন করে না। বিশ্বের সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধানে তাই মদিনা-মুনিব ﷺ মদিনার মুসলমান, ইহুদি, খৃষ্টান এবং বিধর্মীদের সাথে নিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের রূপরেখা এঁকেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নও করেছিলেন। সে থেকেই পরবর্তী সবগুলো মুসলিম রাষ্ট্রে মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতিও সাম্য ও সম্প্রীতি সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। উমাইয়্যা (৯০ বছর), আব্বাসীয় (৫০০ বছর), স্পেনে উমাইয়্যা সাম্রাজ্য (৭০০ বছর), তুরস্কে উসমানীয় সাম্রাজ্য (৭০০ বছর) এবং ভারতে মুসলিম সাম্রাজ্য (৭০০ বছর) এর কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ভারতে যদি জোর করে হিন্দুদের মুসলমান বানানো হতো, তাহলে আজ প্রিয়া সাহা নামে কেউ থাকতো না মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য।

0

মুসলমানের নাতি যেভাবে আজ ইহুদি প্রধানমন্ত্রী

আজ থেকে হয়তো ৫০ বছর পর কেউ লিখবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কিংবা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিংবা উলটোটাও হতে পারে। এখন থেকে ২৫ বছর পরে সংবাদ ছাপা হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলিয় নেতা আমেরিকান ইহুদি কিংবা ব্রিটেনের খৃষ্টান বংশোদ্ভূত। আজকে যারা বাংলাদেশে নিজেদেরকে সেক্যুলার হিসেবে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করছেন তাদের নাতিপুতিরা একদিন ইহুদি বা খৃষ্টান বা হিন্দু হয়ে ফিরে আসলে অবাক হবেন না।

0

হারাধনেরা কি হারিয়ে যাচ্ছে?

প্রিয়া সাহা যাদেরকে মিসিং বা ডিজএপেয়ার্ড বলছেন তারা আসলে এদেশে ভালো থাকার পরও স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাছাড়া মুসলমানদের তুলনায় হিন্দুদের প্রজনন ক্ষমতা কম। যেমন রোহিঙ্গা নারীদের প্রজনন ক্ষমতা অন্য বৌদ্ধ বা বাঙালী নারীর তুলনায় বেশি। ৪৭-এ দেশ ভাগের সময় এদেশে ২৯ ভাগের উপর হিন্দু থাকলেও এখন তা ৯ এ নেমে আসার এটিই মূল কারণ। তারা হারিয়ে যায় নি। স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করেছে। আমি বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাইনি। আমি এবং আমার স্ত্রী স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করে সুইডেনে আছি। কেউ পরিসংখ্যান দিয়ে বলতে পারে আমরা মিসিং। কেননা, আমাদের আপডেটেড ডাটা সরকার বা অন্য কারও খাতায় নেই।

2

তারা ফুঁৎকার দিয়ে আল্লাহ্‌র নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়!

নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর দিকে দিকে ইসলামের প্রতি মানুষের আগ্রহ বরং বাড়ছে। কোথাও কোথাও অনেকেরই ইসলাম গ্রহণের সংবাদ আসছে। তবে আমাদের উচিৎ হবে, প্রতিটি ঘটনাকে কৌশলে মুকাবিলা করা। ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে নয়, বরং ঘৃণাকে ভালোবাসায় রুপান্তরিত করে সন্ত্রাসীদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে, তোমরা পরাজিত। তোমরা উচ্ছিষ্ট। তোমাদের মিশন ব্যর্থ। ইসলাম বিজয়ী, মুসলমানেরা বিজয়ী। তোমরা ঘৃণা দিয়ে আল্লাহ্‌র নূরকে নিভিয়ে দিতে চাও, আর আমরা ভালোবাসা দিয়ে তোমাদের আহ্বান জানাচ্ছি সত্যের দিকে। এখন তোমাদের ইচ্ছে, সত্য গ্রহণ করবে নাকি অন্ধকারেই নিমজ্জিত হবে।

0

ইহুদী-খৃষ্টানদের বলির পাঁঠা কারা?

মুসলমানদের আগে নিজেদের কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে আসতে হবে। তাদেরকে সব ধরণের গোঁড়ামি পরিহার করতে হবে। জ্ঞান ও বিজ্ঞানে মনোযোগ দিতে হবে। উদারপন্থী সূফীবাদকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ধর্মান্ধতা পরিহার করতে হবে। ঘৃণার পরিবর্তে ঘৃণা না ছড়িয়ে ধৈর্য্য আর সহনশীলতা দিয়ে কৌশলে এগুতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন মধ্যপ্রাচ্যের ঘুমিয়ে থাকা আরব ক্ষমতালোভী নেতাদের ঘুম থেকে জেগে উঠা।

0

কর্দোবা জামে মসজিদ আমাদের

যে স্পেন এক সময় মুসলমানেরা ৭ শ বছর ধরে শাসন করেছে, সে স্পেন এখন খৃষ্টানদের। কর্দোবার যে জামে মসজিদে ইসলামের ইতিহাসের বিখ্যাত সব স্কলার, মুহাদ্দিস, মুফাসসীর, পণ্ডিত ও বোদ্ধা ব্যক্তিবর্গ কুরআন, সুন্নাহ আর ফিকহের দরস দিতেন, সে মসজিদ আজ অমুসলিমদের দখলে। শুধু তা-ই নয়, সে মসজিদকে তারা রুপান্তর করেছে গির্জায়।

0

পার্বত্য অঞ্চল হবে স্বাধীন জুমল্যান্ড অথবা ভারতের অংশ দেশদ্রোহীদের এখনোই রুখতে হবে

আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা শান্তিপ্রিয় এবং অসাম্প্রদায়িক। আমরা সকল ধর্ম এবং বর্ণের মানুষ এক সাথে একই ভৌগলিক সীমারেখায় এক দেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই উদার এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দিকে দিকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী, হিংস্র এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেকদিন থেকেই হিন্দুদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা শুনে আসছি। এবার শুনছি পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বৌদ্ধদের মুখ থেকে। তারা কেবল মুসলিম বিদ্বেষীই নয়, চরম হিংস্র এবং ভয়ংকর রকমের বর্ণবাদী।