আশুরা, শোহাদায়ে কারবালার স্মরণ, সুন্নি-শিয়া বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নত্তোরঃ – Mohammed Saiful Azam Al-Azhary
“এই যুদ্ধে এবং দ্বন্দ্বে হযরত আলী (রাঃ) হক্ব ছিলেন। হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ)-র টা বিদ্রোহ ছিল।”
ডক্টর মিয়াজী ডট কম | drmiaji.com
Articles on contemporary Muslim World!
“এই যুদ্ধে এবং দ্বন্দ্বে হযরত আলী (রাঃ) হক্ব ছিলেন। হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ)-র টা বিদ্রোহ ছিল।”
মনে রাখবেন, যুগে যুগে আহলে বাইত অবহেলিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত, নির্যাতিত এবং হত্যার শিকার হয়েছেন আলেমরূপী, পাগড়ী-টুপিওয়ালা, নামাযী মানুষগুলো দ্বারাই। তরিকতের অনুসারী কারো পক্ষে এই বিশেষ দিনটিকে অস্বীকার করা বা এই হাদিসকে শিয়াদের দিয়ে দেবার কোনও উপায় নেই। কেননা, এই ঘোষণা দিয়ে মওলা আলী কারামুল্লাহ ওয়াজহুহুকে বেলায়েতের সম্রাট বানানো হয়েছে।
আমি যার মাওলা, এই আলীও তার মাওলা।” হে আল্লাহ! যে তাঁকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তাকেও তুমি বন্ধুরূপে গ্রহণ করো। যে তাঁর সাথে শত্রুতা করবে, তুমিও তার সাথে শত্রুতা করো। যে তাঁকে ভালোবাসবে, তাকে তুমিও ভালোবাস। যে তাকে ঘৃণা বা অপদস্থ করবে, তাকে তুমিও ঘৃণা ও অপদস্থ করো। যে তাঁকে সাহায্য করবে, তাকে তুমিও সাহায্য করো এবং যে তাঁকে সাহায্য থেকে বিরত থাকবে, তাকে তুমিও সাহায্য থেকে বিরত থাকো এবং সে যেদিকে ঘোরে, সত্যকেও তার সাথে সেদিকে ঘুরিয়ে দাও।
দুই জবেহের সন্তান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর সেই দুই জবেহের বিনিময় হলেন “মহান কুরবানি” ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু।
আপনি ভাবছেন, দেশে এতো সমস্যা হলেও আমি তো ভালোই আছি? মনে রাখবেন, একদিন আপনার এ ভাবনা ভুল প্রমাণিত হবে। সেদিন আর কিছুই করার থাকবে না। দেশের এ অবস্থার জন্য যারাই নীরব তারা সবাই দায়ী। পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, সচেতন মহল, দেশের নাগরিক, সাধারণ এবং অসাধারণ সবাই। সবাই সচেতন হলে দেশ যেমন নিরাপদ থাকবে, দেশের মানুষ, দেশের সম্পদ ও সম্মান সবই নিরাপদে থাকবে। দেশ হায়েনার কবলে পড়লে সবাই ভুক্তভোগী হবেন। মনে রাখবেন, নগর যখন পোড়ে, দেবালয় তা থেকে রক্ষা পায় না।
যা ঘটছে কিংবা ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন অনেক কিছুর জন্যই আপনি আমি দায়ী, যদি আজ আমরা চুপ থাকি। আসুন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন হই। প্রতিবাদ করুন আপনার নিজ নিজ অবস্থান থেকে, নিজ সাধ্য মতো। দেখবেন পরিবর্তন আসতে বাধ্য।
বর এমন একজন মহান পুরুষ যিনি মু’মিনগণের মওলা, জ্ঞানের দরোজা, আহলে বাইতের মধ্যমণি, যাকে ভালবাসলে মু’মিন আর ঘৃণা করলে মুনাফিক, সত্য যাঁর সাথে ঘোরে, যাঁকে ভালোবাসা ঈমান, যাঁর চেহারা দেখাও এবাদত। আর কনে সমস্ত নারী জাতির জন্যে বিশেষ আদর্শের, দুনিয়া এবং আখেরাতে যিনি অতুলনীয় সম্মানীয়, হাশরের ময়দানে আল্লাহ্ পাক যাঁর বেহেশত গমনের সময় সমস্ত হাশরবাসিকে মাথা অবনত করতে নির্দেশ দিবেন, যাঁর বেহেশত গমনের সময় ৭০ হাজার হুর তাঁর রূপ ধারণ করে তাঁকে ঘিরে থাকবে যাতে কেউ বুঝতে না পারে তিনি কোন জন, যিনি রাসূল ﷺ থেকে আর রাসূল ﷺ যাঁর থেকে, যিনি বেহেশতের যুবকদের সর্দারদ্বয়ের মা, তাঁর তুলনা তিনি নিজেই।
প্রায় ৮শ বছর পূর্বে লিখিত ভারতবর্ষ এবং সমসাময়িক বিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে শাহ নি’মাতুল্লাহ রহঃ’র কবিতা। এ পর্যন্ত এর প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে।
তাঁর ভালোবাসা, সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে আল্লাহ্র সৃষ্টি হিসেবে যথাযথ মর্যাদা এবং আপন করে নেয়ার মাধ্যমে তিনি একাই প্রায় ৯০ লক্ষ অমুসলিমকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আনতে সমর্থ হন। তিনি ছিলেন সূফী সাধক। ভালোবাসার ফেরিওয়ালা। ভালোবাসা বিলানোই তাঁর কাজ।
বাবা-মা, ভাইবোন, আত্মীয়পরিজন হারানোর কষ্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে কেউ বেশি অনুধাবন করেন না। তাই উনার কাছে আকুতি থাকবে স্বজন হারানোর কষ্টে যেন পুরো দেশের মানুষকে আর শোকাভিভূত না করে। একটি ১৫ই আগস্ট পুরো জাতির কান্না। ঘরে ঘরে ১৫ই আগস্ট চাই না। যারা তাদের আপনজন হারাচ্ছেন তাদের জন্য সেটাই সবচেয়ে বড় ১৫ই আগস্ট।
More